কোভিড পরিস্থিতিতে রেলের সুরক্ষায় নজরদারি বৃদ্ধির জন্যে ড্রোনের সাহায্য নিল দক্ষিণ পূর্ব রেল। পাশাপাশি লাইনে নজরদারির জন্য দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চার ডিভিশনে কাজে লাগানো হচ্ছে স্নিফার ডগকে।
কোভিড ১৯ আনলক এবং লকডাউনেও নিয়মিত রেল চলাচল বন্ধ থাকলেও, স্পেশাল ট্রেন পরিষেবা চালু আছে। এছাড়া চালু রয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন।
আর ও পড়ুন : ইডেন এবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টার
প্রতিদিন রেলের কর্মীদের নিয়ে যাতায়াত করছে স্টাফ স্পেশাল। তবে এখন সবচেয়ে বেশি যাতায়াত করছে পণ্য পরিবহণকারী বিশেষ রেল। কখনও অ্যানাকোন্ডা তো কখনও কন্টেনার পরিষেবা। সময়ে পণ্য পরিবহণের জন্য এগুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করা হচ্ছে । এই অবস্থায় স্টেশন এর প্ল্যাটফর্ম, গুডস শেড, লাইন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু ব্রিজে নজরদারি বৃদ্ধি করেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল।
কোভিড পরিস্থিতিতে সমস্ত কর্মীদের উপস্থিতিতে কাজ করানো সম্ভব হচ্ছে না। বহু মানুষকে একসাথে কাজ করানো যাবে না। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই কাজ করতে হবে। এই অবস্থায় কাজ করতে গিয়ে যাতে নজরদারির কোনও ফাঁক না থাকে সেই কারণেই সাহায্য নেওয়া হল ড্রোন পরিষেবার।
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের চার ডিভিশন খড়গপুর, আদ্রা, চক্রধরপুর ও রাঁচি ডিভিশনের সর্বত্র মোতায়েন করে রাখা আছে এই ড্রোন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আর পি এফের বিশেষ বাহিনী বলছে, দিন ও রাতে ড্রোন ওড়ানোয় কোনো সমস্যা নেই। একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে ২ কিলোমিটার এলাকা স্পষ্ট এবং পরিষ্কার ভাবে দেখা যায়।
আর ও পড়ুন : টিটাগড়ে চলল গুলি : মৃত এক যুবক
জঙ্গল মহলের মধ্যে দিয়ে রেল লাইন গিয়েছে। সেখানে অনেক সময়েই হাতি চলে আসছে। তারা লাইনে আসলে ড্রোনের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। ফলে দুর্ঘটনা আটকানো যাচ্ছে। লাইন ধরে মানুষ হাঁটছেন কি না তাও দেখা যাবে৷
এছাড়া এই চার ডিভিশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে স্নিফার ডগ। রেল লাইনে নাশকতা রোধে সাহায্য করবে৷ যেহেতু গুডস শেড এবং স্টেশনের সব জায়গায় আরপিএফ বা রেল কর্মী এখন পৌঁছনো বা থাকা এই পরিস্থিতিতে সম্ভব হচ্ছে না তাই এখন রেলের সম্পত্তি সুরক্ষায় ভরসা ড্রোন এবং স্নিফার ডগ।