অপরাজিত’তে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে জিতু কামালের লুক প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই চর্চায় রয়েছেন জিতু কামাল। গত দুমাস ধরে রিল এবং রিয়েল লাইফ সমস্তকিছুই মিলেমিশে একাকার। প্রথমে এই চরিত্র করার কথা ছিল আবির চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু সময় দিতে না পারায় আবীর চট্টোপাধ্যায়, অনীক দত্ত পরিচালিত অপরাজিত থেকে সরে দাঁড়ালেন। তার জায়গায় এলো জিতু কামাল।
ইতিহাস গড়ল আমেরিকা, মাত্র ১ ঘন্টা ২৫ মিনিটের জন্য রাষ্ট্রপতি কমলা
যদিও অল্প বয়সে সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রের অভিনয় করার কথা ছিল জিতুর৷ কিন্তু তারপর শুরু থেকে শেষ সবটুকু জুড়েই থাকবেন জীতু কামাল এমনটাই স্থির হয়েছে। এমন খবর যেতেই আবির চট্টোপাধ্যায়ের বাবা নাট্যব্যক্তিত্ব অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় জিতু কামালকে শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, “তোর কাঁধে কিন্তু বিরাট দায়িত্ব। খুব খুশি হয়েছি।
উপহার দিয়েছেন ” আমাদের কথা” বইটি। সোমনাথ কুন্ডু ক্রিয়েট করেছেন সত্যজিৎ রায়ের লুক৷
মেগা সিরিয়ালের শুট করার পাশাপাশি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রে অভিনয় করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জীতু কামাল। চরম ব্যস্ততায় দিন কাটছে৷ লুক টেস্ট থেকে বেরিয়েই মেগা সিরিয়ালের শুট করতে যাচ্ছিল জিতু৷ এমন সময় অনীক দত্ত তাকে বেশ কিছু ছবি পাঠিয়ে দেখতে বললে নিজের ছবি দেখেই চিনতে পারেন না জিতু৷
ওগুলোকে সত্যজিৎ রায়ের ছবি বলে ভুল করতেই অনীক দত্ত ভুল ধরিয়ে দিয়ে জানান এগুলো আসলে জিতু কামাল এর লুক টেস্টের ছবি।
ছবিগুলো দেখে চিনতে পারেনি স্ত্রী নবনীতাও। রান্না করতে করতে ভেবেছিলেন সত্যজিৎ রায়। নিজের উচ্চতা নিয়েও এখন গর্ববোধ করেন জিতু। উচ্চতার জন্যই যে সত্যজিৎ রায়ের মতন প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্বর চরিত্রে তিনি অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পর্দার বিজয়া রায় অভিনেত্রী তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল যুব নেত্রী সায়নী ঘোষ। জিতু এবং সায়নীর এটাই প্রথম কাজ। অনীক দত্ত এবং সায়নী ঘোষ এর মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য রয়েছে কিন্তু যেখানে সত্যজিৎ রায়ের মতন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে কাজ করা সেখানে যে রাজনীতির কোনো জায়গা নেই তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন জিতু৷
সত্যজিৎ রায় এর পুত্র সন্দীপ রায় পর্যন্ত জিতুর লুক দেখে প্রশংসা করেছেন। ছবির কাজে মন দেওয়ার জন্য মেগা সিরিয়াল থেকে নিয়েছেন এক মাসের ছুটি। ভোর পাঁচটায় উঠে নবনীতার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। কাজ এবং পরিবার দুটোকেই তিনি সমান তালে সামলাচ্ছেন।
সকাল সাতটায় স্টুডিওতে মেকআপ করতে চলে যান। এমনকি সত্যজিৎ রায়ের চরিত্রের জন্য জিম করা ছেড়ে দিয়েছেন। প্রথম পর্বে বোলপুরে পথের পাঁচালীর অংশ এর শুট করা হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্ব শুটিং শুরু হয়েছে ১৯ নভেম্বর থেকে৷ পরিচালকের বাড়ি অফিস স্টুডিও সমস্তকিছুই সেটে তৈরি করা হয়েছে এমনই অবস্থা হয়েছে যে ঘরে বাইরে এখন তিনি শুধুই সত্যজিৎ। জিতুর স্কুলের মাস্টারমশাই ফোন করলেও তিনি সত্যজিৎ রায়ের ব্যারিটোনে কথা বলে ফেলছেন৷ স্ত্রী নবনীতাকেও মঙ্কু বলে ডাকছেন জিতু৷