শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের বাড়ি প্রতীচী বিশ্বভারতীর অংশে পড়েছে। এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চিঠি লেখেন অমর্ত্য সেনকে। এবার প্রতীচী কাণ্ডে পথে নামলেন বুদ্ধিজীবীরা। রবিবার বিকেলে অ্যাকাডেমি চত্বরে একটি প্রতিবাদসভার আয়োজন করা হয়। এই প্রতিবাদসভায় উপস্থিত ছিলেন জয় গোস্বামী, কবির সুমন, সুবোধ সরকার সহ শুভাপ্রসন্ন সহ অনেকে। সকলেই অমর্ত্য সেনের অপমানের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অমর্ত্য সেনের বাড়ীর একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির মধ্যে পড়েছে। এই দাবি মানতে নারাজ অমর্ত্য সেন।
কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির নিয়ম বদল হতে চলেছে, অভিন্ন পরীক্ষার ভাবনা কেন্দ্রের
তিনি জানিয়েছেন তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে। এনিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি দিয়েছেন অমর্ত্য সেনকে। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। আজ ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে অ্যাকাডেমির সামনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। কবি সুবোধ সরকার বলেন, ‘অমর্ত্য সেনকে যে এভাবে অপমান করা যায় সেটাই ভাবা যায় না! তিনি বিশ্বভারতীর জমি দখল করেছেন বলে যে-অপবাদ তাঁকে দেওয়া হচ্ছে, তার প্রতিবাদেই আমরা জড়ো হয়েছি।’ এপ্রসঙ্গে কবি ও গদ্যকার জয় গোস্বামী বলেন, ‘অমর্ত্য সেনের সঙ্গে যা করা হয়েছে তা কেন্দ্রীয় সরকারের স্বৈরাচারী স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্বভারতী ও কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ করেছে আমি তার সর্বাঙ্গীন বিরোধিতা করি ও ধিক্কার জানাই।’