একাধিক পর্যায়ের সামরিক বৈঠকের পরেও চীন সেনা অপসারণ করেনি বহু বিতর্কিত অঞ্চল থেকে। তৎপরতার হ্রাস ও পশ্চাদপসরণের প্রক্রিয়া এখনো চলছে পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে। নয়াদিল্লি মারফত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী লাল ফৌজ চুক্তি মতো পূর্ব লাদাখ অঞ্চলের লাইন অফ একচুয়াল কন্ট্রোল থেকে সম্পূর্ণ সেনা অপসারণ করেনি।
১৫ ই জুন গালওয়ান উপত্যকার যে অংশে ভারত চীন সেনা সংঘর্ষে প্রায় ২২ জন ভারতীয় পক্ষের সৈন্য প্রাণ হারিয়েছিল সেই অংশে এখনো রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু শত্রুপক্ষের সেনা ছাউনি। ডেপসং সমতলে, গোগ্রায়, এবং প্যাংগং লেক সংলগ্ন বেশকিছু ফিঙ্গার রিজিয়নে ভারত ও চীনের বাফার জোন নির্ধারণ করে সেখান থেকে মিলিটারি ডিসএনগেজমেন্ট ঘোষিত হয়। গালওয়ান, উষ্ণ প্রস্রবণ ও প্যাংগং লেকের কিছু অংশে বস্তুত এই চুক্তি কার্যকর হলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে গোগ্রা এবং ডেপসংয়ের সংশ্লিষ্ট কিছু অংশে চীন সেনার কোন হেলদোল দেখা যায়নি।
চুক্তি স্বাক্ষরিত হবার পরেও দেখা গিয়েছে ফিঙ্গার-৫ অংশের পূর্বে কোনোভাবেই পিপলস লিবারেশন আর্মি সরতে নারাজ। মিলিটারি আধিকারিক মারফত পাওয়া তথ্য জানিয়েছে ফিঙ্গার-৫ অংশে চীন সেনা একটি বিশেষ অবজারভেশন পোস্ট তৈরি করতে চায়, যা তাদের এক্তিয়ার বহির্ভূত। সংবাদ সংস্থা এএনআই বলছে সেখানে এখনো পর্যন্ত ৪০,০০০ সশস্ত্র ট্রুপ রয়ে গিয়েছে। চীন ও ভারতের তরফে সর্বশেষ দ্বিপাক্ষিক সেনা বৈঠকটি হয়েছিল জুলাই মাসের ১৪-১৫ তারিখ নাগাদ। তারপর থেকে কূটনৈতিক স্তরে বিষয়টি নিয়ে আর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি দুই রাষ্ট্রের কেউই।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি এডভাইজার অজিত দোভাল বিবৃতি দিয়েছেন যে চীন-ভারত দুই পক্ষকেই শান্তি চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে সেনা অপসারণ ও সামরিক চাপ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। উষ্ণ প্রস্রবণ ও গোগ্রা অংশে চীন সেনা যে ধরনের মিলিটারি স্ট্রাকচার তৈরি করেছে তা অংশটিকে সংঘর্ষ বিন্দুতে রূপান্তরিত করছে। দুই রাষ্ট্রই যদি নিজেদের পূর্ববর্তী স্থানে ফিরে যায় তাহলেই শান্তি ফিরে আসতে পারে উপত্যকায়।