লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল থেকে সেনা অপসারণের পরবর্তী পর্যায়ের কর্মসূচি নিয়ে মঙ্গলবার লাদাখের চুশুলে ভারত-চীন দুই তরফের কোর কমান্ডাররা চতুর্থ পর্যায়ের বৈঠকে বসতে চলেছে। সেখানকার কর্তব্যরত সেনা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, স্ট্রাটেজিক ফিঙ্গার এরিয়া এবং ডেসপ্যাং এরিয়াতে সামরিক উত্তেজনা আপাতভাবে হ্রাস পেলেও অঞ্চলদুটিকে ঘিরে উভয়পক্ষের ক্ষোভ প্রশমন নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে। এরইসাথে সংঘর্ষপ্রবণ এলাকা থেকে যুদ্ধাস্ত্র ও সমর সরঞ্জাম সরানো নিয়েও কথাবার্তা হবে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন : গত ২৪ ঘন্টায় দেশের করোনা পরিস্থিতি
গত মাসের ৬ ই জুন ভারতীয় সেনা এবং চীনের পিএলএ’র মধ্যে প্রথম কোর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছিল। কিন্তু সেই বৈঠকের পরপরেই গালওয়ান সংঘর্ষের জেরে লাদাখ সেক্টর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে যুদ্ধের অবস্থা তৈরি হলে ২২ শে এবং ৩০ শে জুন প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন কমান্ডাররা। এখনও পর্যন্ত ফিঙ্গার এরিয়া এবং ডেসপ্যাং এলাকায় লালফৌজের অবস্থানের জন্য সমস্যা রয়ে গিয়েছে। আজকে সাড়ে ১১ টায় সেই বৈঠক শুরুর হবে বলে খবর মিলেছে।
এশিয়া কন্টিনেন্টের ক্রমবর্ধমান শক্তির দুই দেশের সীমান্ত সমস্যা মেটানোর এই বৈঠক প্রসঙ্গে নর্দান আর্মির অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডি এস হুডা জানান, মঙ্গলবারের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্যাংগং এবং ডেসপ্যাং এলাকার অধিকার শুরু থেকেই ভারতের। সেখানে চীনসেনার অনধিকার অনুপ্রবেশ অকল্পনীয়। দুটি অঞ্চল থেকেই চীনের সামরিক অপসারণের দাবি রাখা উচিত ভারতের, তা ব্যতিরেকে অন্য কোনো সমঝোতা হলে তা আসলে চীনের আগ্রাসনকেই মান্যতা দেওয়ার শামিল।