করোনার প্রকোপ থাকায় সারা বিশ্বে সাধারণ জীবন ব্যাহত হয়েছে। তারই মধ্যে এসেছে বাঙ্গালীর নববর্ষ, রবীন্দ্র জয়ন্তী। এর মধ্যেই এসে পড়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র ঈদ। এই করোনা তে প্রতিবারের মত এবার আড়ম্ভর করে পালন করা যাবে না কিন্তু ঈদের নিয়মগুলো তারা মেনে চলবেন। এই বছর কোনো নতুন জামা কিনতেও তারা পারেননি। তাই শুধু নিয়ম রক্ষা করা ছাড়া এবছর কিছুই করতে পারবেন না তারা এই পবিত্র রমজানে।
তবে এই ঈদে একটি অভিনব ব্যাপার হতে চলেছে যেটা আজ পর্যন্ত কেউ কোনোদিন ভাবতে পারেননি।
করোনা মোকাবিলায় সবার আগে যে দেশের নাম উঠে আসে সে হল জার্মানি। সেই দেশে এখন আস্তে আস্তে সব কিছু স্বাভাবিক হতে চলেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ চলছে। এর মধ্যে পবিত্র ঈদের দিনে সামাজিক দূরত্ব মেনে পালন করতে বলেছেন সরকার। এমতাবস্থায় এত বিপুল মানুষের সামাজিক দূরত্ব মেনে ঈদ পালন করা খুব মুস্কিল তাই তাদের জন্যই এগিয়ে এলেন ক্রুজবার্গের চার্চ মার্থা লুথেরান। হাজার হাজার মুসলমান নামাজ পড়লেন গির্জা তে। এই দৃশ্য দেখে আবেগে ভাসছেন প্রত্যেকে। তারা ঠিক যেমন ভাবে করোনা র বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনই লড়াই করলেন ধর্মের নামে কুসংস্কার এর সাথেও। তারা প্রমাণ করলেন যে ধর্ম একটু শব্দ ছাড়া কিছুই না।তাদের দেখে আরো গির্জা তাদের দরজা খুলে দিয়েছেন নামাজ পড়ার জন্য। তাদের এই কর্মকান্ড সারা দেশের জন্য একটি শিক্ষা হয়ে রইলো। সবার ওপরে মানুষ সত্য তাহার ওপরে নাই।
লকডাউন মেনেই এবার পালন হবে ঈদ…
এর পর হয়তো সারা দেশে সব ধর্মের মানুষ সব ধর্ম কে সম্মান করবে। ধর্মের নামে আর হবে না হানাহানি। কার ধর্ম কতো বড়ো সেই বিবাদে না গিয়ে মানুষ জাতিকে আগে সম্মান করবে তখন হয়তো আমরাও আর কোনো মহামারীর কবলে পড়ব না খুশি হবে ঈশ্বর খুশি হবে পৃথিবী আর সেই সাথে আমরাgerman-church-opens-doors-for-muslim-prayersও।