ডিএনএ পরীক্ষার উন্নত মানের পরিকাঠামো এবার পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের নিজস্ব বেলগাছিয়া ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি পরিকাঠামোগত ভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইতিমধ্যেই বিগত কয়েক মাস ধরে ডিএনএ রিপোর্ট তৈরি করার কাজ ওই পরীক্ষাগারেই চলছে। সেই সঙ্গে রক্তের ‘সেরোলজি’ পরীক্ষার দু’টি ইউনিটও চালু হয়েছে। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেন। তারপরেই বেলগাছিয়া ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়।
বিভিন্ন মামলার সত্যতা প্রমাণের জন্য অভিযোগকারী বা অভিযুক্তের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। তেমনই খুন ও দুর্ঘটনার মামলার তথ্যপ্রমাণের সূত্রে ‘সেরোলজি’ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রক্তের পরীক্ষা। বেলগাছিয়া ফরেন্সিক পরীক্ষাগারের সিনিয়র বিজ্ঞানী হরেন্দ্রনাথবাবুর দাবি, ‘‘রাজ্যের ডিএনএ পরীক্ষার পরিকাঠামো এখন বিদেশের পরীক্ষাগারের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারে। কেন্দ্রের যে কোনও পরীক্ষাগারের সমকক্ষ এটি।’’ অধিকাংশ পরীক্ষাগারে শরীরের ১৫ থেকে ১৮টি অংশ থেকে সংগৃহীত নমুনার ডিএনএ পরীক্ষা করার পরিকাঠামো রয়েছে। সেখানে বেলগাছিয়া ফরেন্সিক পরীক্ষাগারে শরীরের ২৩টিরও বেশি অংশ থেকে নেওয়া নমুনার পরীক্ষা করার পরিকাঠামো রয়েছে। যত বেশি অংশ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা যাবে, রিপোর্ট ততই স্পষ্ট হবে।
রাজ্য পুলিশের কর্তারা জানাচ্ছেন, এত দিন ভিন রাজ্যে নমুনা পাঠিয়ে ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হত। কারণ,ট রিপোর্ট তৈরিতে ন্যূনতম চার থেকে ছ’মাস সময় প্রয়োজন। তাই একাধিক রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় অথবা ভিন রাজ্যের ল্যাবরেটরিতে নমুনা জমা হলে রিপোর্ট আসতেও দেরি হয়। কিন্তু এখন রাজ্যের নিজস্ব ডিএনএ পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি হওয়ায় বহু মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া দ্রুত এগোবে। ডিএনএ রিপোর্টের জন্য বেশি দিন অপেক্ষাও করতে হবে না।”
গোয়াতে কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ মমতার
ইতিমধ্যেই কলকাতা ও জলপাইগুড়িতে সেরোলজি পরীক্ষার পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে। রাজ্যে উন্নত মানের পরিকাঠামোয় ডিএনএ এবং সেরোলজি পরীক্ষার ব্যবস্থা তৈরি হওয়ায় মামলার দ্রুত সমাধান সহজ হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।