পূর্বের সর্বোচ্চ সীমানা অতিক্রম করে নতুন ১৯১৪৮ জন রোগীকে কোভিদ-১৯ পজিটিভ চিহ্নিত করা হয়েছে। আগের থেকে রোজই এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা স্থিতিস্থাপক ভাবে বেড়ে চলেছে। কিউম্যুলেটিভ পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৭,৮৩৪ জন মানুষ গড়ে দিনপ্রতি মারা যাচ্ছে, আশাব্যঞ্জক খবর এইটুকুই যে ৩,৫৯,৮৬০ জন মানুষ রোগাক্রান্ত হয়েও সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। ভারতবর্ষে বর্তমানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৬,০৪,৬৪১ জন।
আরও পড়ুন : রেলে এবার বেসরকারি ট্রেন,উদ্যোগী রেলমন্ত্রক
বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় থানে এবং মুম্বাই শহরের দুটো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্লকে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। করোনার গোষ্ঠী সংক্রান্ত রুখতে এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিক তরফে জানানো হচ্ছে যে অপরিহার্য পরিষেবা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রের প্রয়োজনের কেবল এই নিয়ম শিথিল করা হবে। অটো রিক্সা, বাস বা কোনো স্থানীয় পরিবহন ব্যবস্থা সচল রাখতে দেওয়া হবে না। থানে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (টিএমসি), কল্যাণ ডোম্বিভ্যালি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (কেমডিসি) আর মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন (এমএমআর)-এর যৌথ উদ্যোগে এই ১০ দিনের জরুরিকালীন কনটেইনমেন্ট করা হবে। জুলাইয়ের ১২ তারিখ সকাল ৭ টা পর্যন্ত এই বর্ধিত লকডাউন চলবে। আজকে সকাল ১০:৩০ পর্যন্ত রাজস্থানে ১১৫ টি নতুন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। যা এই রাজ্যে মোট আক্রান্ত সংখ্যা ১৮৪২৭ জন ও অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩৩৫৮ জন করে দিয়েছে। স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্ট সূত্রে ৪২৬ জনের মৃত্যুর খবর এখনও জানা যাচ্ছে।
সর্বোচ্চ আক্রান্তের ভিত্তিতে দেশে প্রথম মহারাষ্ট্র, দ্বিতীয় তামিলনাড়ু যেখানে মোট ৩৯,৮৫৯ জন অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে, তৃতীয় দিল্লি সেখানে ২৭,০০৭ জন ও চতুর্থ স্থানেই গুজরাট সেখানে ৭,৩৩৫ জন বর্তমানে আক্রান্ত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দিন বিশ্বের বৃহত্তম ‘একদিনে আক্রান্ত রোগী সংখ্যার’ নতুন নজির গড়েছে সেখানে ৫০,০০০ মানুষ এদিন আক্রান্ত হয়েছেন। অবস্থা সবথেকে ভয়াবহ টেক্সাস ও উত্তর ক্যারোলিনায়, ক্যালিফোর্নিয়াতেও লকডাউন শিথিল করা পর থেকে পুনরায় সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী। বিশ্বজুড়ে ১০.৭ মিলিয়ন মানুষ এখনও এই রোগের শিকার, বিভিন্ন দেশ ভ্যাক্সিন নিয়ে নিজেদের গবেষণার সাফল্যের ইঙ্গিত দিলেও, সেই ওষুধ বাজারে সুলভ হতে এখনও বেশ কিছুটা দেরি আছে বলে মনে করা হচ্ছে