করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকাতে মরিয়া ছিল কেন্দ্র। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের গোষ্ঠী সংক্রমণ (community transmission) ব্যাপক হারে শুরু হয়ে গিয়েছে, তা দ্বিধাহীন ভাবে ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন।
আইএমএ হসপিটাল বোর্ড অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ডাক্তার ভিকে মোঙ্গা এএনআইকে জানান, ভারতে এখন তাত্পর্যপূর্ণভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। আক্রান্ত রোজ ৩০ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে। ভারতে গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। কোভিড পরিস্থিতি ক্রমে খারাপ হচ্ছে।
আরও পড়ুন : দক্ষিনবঙ্গে বেশ কিছু জায়গায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
যদিও, কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করা হয়নি।
ভারতে বর্তমানে সুস্থতার হার ৬২.৯৩ শতাংশ। যদিও শুক্রবার এই হার ছিল ৬৩.৩৩ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতি ১০ লক্ষে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২৭.৪। সেখানে ইউরোপের এক-একটি দেশে প্রতি ১০ লক্ষে আক্রান্তের সংখ্যা ভারতের চার থেকে আট গুণ বেশি।
আইএমএ’র চেয়ারম্যানের কথায়, ‘এ জন্য অনেকগুলো কারণ কাজ করছে। তবে, গ্রামাঞ্চলে সংক্রমণ আমাদের সামনে বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ চিকিত্সক সংগঠনের এই প্রতিনিধি মনে করেন, দেশের জন্য এটা ‘অশুভ লক্ষণ’। গোষ্ঠী সংক্রমণ যে শুরু হয়েছে, এটা তার প্রমাণ।
দিল্লিতে করোনাভাইরাসকে শেষপর্যন্ত দমন করতে পারলেও মহারাষ্ট্র, কর্নাটক, কেরালা, গোয়া, মধ্যপ্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিই কোভিডের ‘হটস্পট’ হতে চলেছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফে শনিবার এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত দু-দিন ধরে দেশে ৩৪ হাজারের উপর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দেশে করোনা আক্রান্ত ১০ লক্ষের বেশি মানুষ।