লাদাখের পর এবার কি চিনের নজর আন্দামানে?
সরকারিভাবে মুখ না খুললেও দিল্লি কিন্তু নড়েচড়ে বসেছে।
ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে আন্দামান-নিকোবরের কাছ দিয়ে জ্বালানি তেল আমদানি করে চিন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই এবার আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের গুরুত্ব বাড়ানো হচ্ছে। উত্তর আন্দামানের শিবপুরে নৌসেনার এয়ার স্টেশন আইএনএস কোহাসারের রানওয়ের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ক্যাম্পবেলে আইএনএস বাজ-এর রানওয়ের দৈর্ঘ্য বাড়ানোরও কথা চলছে। প্রয়োজনে বড় যুদ্ধবিমান যাতে এখান থেকে কাজ করতে পারে, তার জন্য বাড়ানো হচ্ছে রানওয়ের দৈর্ঘ্য।
দীর্ঘদিন ধরে আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ড অবহেলার শিকার ছিল বলে অভিযোগ। যথেষ্ট পরিমাণে ফান্ড এই কম্যান্ডের জন্য নির্দিষ্ট করা হত না বলেও অভিযোগ। ভারত মহাসাগরের ওপরে অবস্থানগত বিচারে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলেও আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ডের প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এতদিন যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি বলে সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে। কিন্তু গলওয়ানের সংঘর্ষের পর নড়েচড়ে বসেছে ভারত।
প্রসঙ্গত ২০০১-এ প্রথম আন্দামান-নিকোবর কম্যান্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিই এখনও পর্যন্ত দেশের প্রথম এবং একমাত্র থিয়েটার কম্যান্ড, যেখানে আর্মি, বায়ুসেনা এবং নৌসেনা একটিই অপারেশনাল কম্যান্ডারের অধীনে রয়েছে।