Home বঙ্গ ‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র সাফল্যের পরে নয়া ক্যাম্পেইন ‘সোজা বাংলায় বলছি’

‘দিদিকে বলো’, ‘বাংলার গর্ব মমতা’র সাফল্যের পরে নয়া ক্যাম্পেইন ‘সোজা বাংলায় বলছি’

by banganews

শুরু হলো তৃণমূলের নতুন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সোজা বাংলায় বলছি। তবে এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না দলের নাম ও প্রতীক। সূত্রের খবর, তৃণমূলের নির্বাচনী পরামর্শদাতা পিকে’র মস্তিষ্কপ্রসূত এই ক্যাম্পেইন। একুশের লড়াইয়ের প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবার শুরু করল আরও একটি নতুন ক্যাম্পেইন। একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো বার্তা দিয়েছিলেন যে বাংলা চালাবে বাংলার মানুষই সেই লব্জকে মাথায় রেখেই চলু হল এবারের নয়া কর্মসূচি।
ইতিপূর্বে ব্যাপক সাড়া মিলেছিলো ‘দিদিকে বলো’, থেকে শুরু করে ‘বাংলার গর্ব মমতা’য়। ব্লকস্তর পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি বুথের সাধারণ মানুষের কাছে অতি সহজেই পৌঁছে গিয়েছিল এইসব ক্যাম্পেইন। এবার সেই ধারাপ্রবাহকে অব্যহত রেখে ‘সোজা বাংলায় বলছি’ ক্যাম্পেইনের প্রচার শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। আজ থেকেই শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ পালন করে ‘সোজা বাংলায় বলছি’র অভিযান শুরু হল রাজ্যের প্রতিটি দলীয় কার্যালয়ে। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রধান প্রতিপক্ষ বিজেপিকে ঠেকাতে বাংলার নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে তৎপর দল।

আরও পড়ুন মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক, করোনারোগীর প্রাথমিক পরিষেবায় করোনাজয়ীদের কলসেন্টার

বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে হাতিয়ার করেই এই অভিযান। বাংলায় অবাঙালি আগ্রাসন ও ‘ভাষা-সন্ত্রাসের’ অভিযোগ তুলে বারংবার বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে তৃণমূল। এছাড়াও গেরুয়া শিবিরের চাপিয়ে দেওয়া হিন্দি প্রধান গো-বলয়ের সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের দায়িত্বাধীনে এই কর্মসূচিটি সামনের নির্বাচনে ফলপ্রসূ হবে বলে দল আশাবাদী। রবিবারের বৈঠকের প্রথম পর্বে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় বাংলার কর্মসংস্থানের তুলনামূলক চিত্রটি তুলে ধরার চেষ্টা করলেন ডেরেক। ‘সোজা বাংলায় বলছি’ – একটি ভিডিও সিরিজের সূচনাতেই তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা দাবি করলেন, দেশের অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা বেকারত্বের হারকে অনেকটাই কমিয়ে আনতে সক্ষম। সিএমআইই’র তথ্য বলছে গত জুন মাসে ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ১১ শতাংশ। যেখানে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার ছিল ৩৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন অন্য রাজ্যের চেয়ে কর্মসংস্থানের হারে এগিয়ে বাংলা: ডেরেক

উত্তরপ্রদেশে ৯.৬ শতাংশ, কর্ণাটক ৯.২ শতাংশ, মধ্যপ্রদেশ ৮.২ শতাংশ, সেখানে বাংলায় বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ, মাত্র। তরুণ-যুবের নিশ্চিত ভবিষ্যত নির্মাণে মা-মাটি-মানুষের সরকারই যে একমাত্র ভরসা সেকথা এদিনের বিবৃতিতে স্পষ্ট করেন ডেরেক।

You may also like

Leave a Reply!