EPFO সমস্ত কর্মচারীদের পিএফ-র সুবিধা দিয়ে থাকে ৷ এর জন্য কর্মচারীর বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা করার জন্য কেটে নেওয়া হয় ৷
অবসর প্রাপ্ত কর্মীদের আর্থিক অবস্থা সুরক্ষিত রাখার জন্য এটি একটি বেশ ভরসাযোগ্য পদ্ধতি ৷ অবসরের পর এখানে জমা টাকা কর্মচারীদের কাজে আসবে ৷
এখন কেবল অবসরের পর নয়, পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা টাকা থেকে একাধিক সুবিধা পাওয়া যায় ৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১. মিলবে ফ্রি ইনস্যুরেন্সের সুবিধা-
কোনও কর্মী যখনই পিএফ অ্যাকাউন্ট খুলবেন তখনই বাই ডিফল্ট উনি ইনস্যুওয়ার্ড হয়ে যাবেন ৷ ইডিএলআই-এর তরফে কর্মীদের ৬ লক্ষ টাকার বিমার সুবিধা দেওয়া হয় ৷ ইপিএফও-র সক্রিয় সদস্যের সার্ভিস চলাকালীন মৃত্যু হলে তাঁর নমিনিকে ৬ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে ৷ সংস্থাগুলি এবং কেন্দ্র সরকার তাদের কর্মীদের এই সুবিধা দেওয়া হয় ৷
আরো পড়ুন
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সরকারি কর্মীদের জন্য বিশেষ উপহার
২. ট্যাক্সে মিলবে ছাড়-
ট্যাক্সে ছাড় চাইলে পিএফ সবচেয়ে ভাল বিকল্প ৷ ইপিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা ইনকাম ট্যাক্স ধারা ৮০ সি অনুযায়ী, নিজেদের স্যালারিতে যে ট্যাক্স হয় তাতে ১২ শতাংশ পর্যন্ত সেভিংস করতে পারবেন ৷
৩. অবসরের পর মিলবে পেনশন-
পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা কন্ট্রিবিউশন থেকে ৮.৩৩ শতাংশ পেনশন স্কিমে ট্রান্সফার করা হয় যা অবসরের পর পেনশন হিসেবে পাওয়া যায় ৷ পেনশন যে কোনও ব্যক্তির বয়সকালের সবচেয়ে বড় ভরসা ৷
৪. নিস্ক্রিয় অ্যাকাউন্টেও মিলবে সুদ-
২০১৬ সালের নিয়মে হওয়া বদল অনুযায়ী, এখন পিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের তিন বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকা পিএফ অ্যাকাউন্টেও সুদ দেওয়া হয় ৷ এর আগে তিন বছর ধরে নিষ্ক্রিয় পড়ে থাকে পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল না ৷
৫. অটো ট্রান্সফার সুবিধা
আধারের সঙ্গে সংযুক্ত আপনার UAN নম্বরের মাধ্যমে আপনি একাধিক PF অ্যাকাউন্ট (যদি আপনি চাকরি পরিবর্তন করে থাকেন) লিঙ্ক করতে পারেন। চাকরি পরিবর্তনে পিএফ অর্থ স্থানান্তর করা এখন সহজ হয়ে গেছে।
৬. দরকারের সময় তুলে নিতে পারবেন টাকা
পিএফ ফান্ডের একটা বড় সুবিধা হল দরকারের সময় এখান থেকে টাকা তুলতে পারবেন ৷
