মোদি সরকারের একাধিক নীতির বিরোধিতায় ২৮ ও ২৯ মার্চ অর্থাৎ সোম ও মঙ্গলবার বন্ধের ডাক দিয়েছে বামেরা। জনজীবনে যাতে ধর্মঘটের প্রভাব না পড়ে সেদিকে নজর রেখেছে রাজ্য। তা সত্ত্বেও সোমবার সকাল থেকেই বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উঠে এল অশান্তির ছবি। এদিন সকালে যাদবপুরের ৮ বি বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখান বামেদের কর্মী-সমর্থকরা। যাদবপুর স্টেশনে রেললাইনে বসে পড়েন বামেরা। ব্যানার হাতে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফের উপর উঠে পড়েন বাম কর্মীরা। যার জেরে দীর্ঘক্ষণ ব্যহত হয় রেল পরিষেবা। স্টেশনে বাড়তে থাকে ভিড়।
একই ছবি দেখা গিয়েছে হাওড়ার ডোমজুড়, উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া স্টেশনে। রেল লাইনে অবরোধ করেন বন্ধ সমর্থকরা। ফলে অফিস টাইমে ট্রেন পরিষেবা ব্যহত হয়। প্রবল ভোগান্তির শিকার হতে হয় নিত্য যাত্রীদের। কেউ কেউ বিকল্প পথে গন্তব্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। তবে জেলায় জেলায় সড়কেও চলছে বামেদের বিক্ষোভ। লেকটাউনের কালিন্দি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সকাল থেকেই রাস্তার উপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বাম ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা।
‘আনারুলকে গ্রেফতার করুন, কোনও অজুহাত চলবে না’, রামপুরহাটে পৌঁছেই নির্দেশ মমতার
কোচবিহারে সরকারি বাস লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে বনধ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাসটি। বিভিন্ন জেলায় জোরপূর্বক দোকানপাট বন্ধ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠছে বামেদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে বামেদের বিক্ষোভের মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাংলায়।