Home দেশ মায়ের অন্ত্যেষ্টিতে কাঁধ দিয়ে অজান্তেই সংক্রমিত হয়ে মৃত ৫ ছেলে

মায়ের অন্ত্যেষ্টিতে কাঁধ দিয়ে অজান্তেই সংক্রমিত হয়ে মৃত ৫ ছেলে

by banganews
গত জুনে লকডাউন শিথিল হওয়ার সুযোগ নিয়ে বিবাহের মতো একটি শুভ অনুষ্ঠান সেরে ফেলতে চেয়েছিল ঝাড়খণ্ডের এই পরিবারটি। গোটা পরিবার যখন বিয়ের আনন্দে মাতোয়ারা তখনই সকলের অতর্কিতে হানা দেয় মারণ ভাইরাস। ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হাজির ছিলেন আত্মীয়-স্বজন ও নিমন্ত্রিত মিলিয়ে মোট একশো জনের কাছাকাছি মানুষ। বিধিসম্মত সতর্কীকরণ না মেনেই উপস্থিত ছিলেন ৮৮ বছরের পরিবারের প্রবীণ মানুষটিও। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ৮৮ বছরের ওই মহিলাও আনন্দ উপভোগ করেন পারিবারিক অনুষ্ঠানে। বিবাহের রীতি রেওয়াজ সবকিছু সমাপ্তির পরেই দেখা দেয় গোলযোগ। ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়, মায়ের মৃত্যুতে শোকাহত পাঁচ ছেলেই কাঁধে করে তাকে শ্মশানে নিয়ে যায়, সম্পন্ন হয় অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া। দাহ করে ফেরার পরে তারা হাতে রিপোর্ট পান যে তাদের সদ্যপ্রয়াত মা কোভিড-১৯ পজিটিভ ছিলেন।
বৃদ্ধাকে কাঁধ দিয়েছিলেন ৫ ছেলে, আশ্চর্যজনক ভাবে এরপর থেকে একে একে দেখা যায় তাদের প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। প্রত্যকের দেহেই দেখা দিয়েছে করোনা সংক্রমণের উপসর্গগুলি এবং ধীরে ধীরে তাদের স্বাস্থ্যের অবনতিও ঘটেছে। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে মনে হলে সকলেই হাসপাতালে ভর্তি হন। এরই দিন পনেরোর মধ্যে সবকটি ছেলে মারা যান। এদের মধ্যে ১ জন ক্যান্সারের রুগি ছিলেন তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে ক্যান্সার ধরা হলেও, বাকি ৪ জন ছেলেরই মৃত্যু হয় করোনা আক্রান্ত হয়ে। মায়ের পরলোক গমনের মাত্র  ১৫ দিনে গোটা পরিবার ছাড়খার হয়ে গেল। একই পরিবারে থেকে ৬ জনের পরপর মর্মান্তিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ প্রতিবেশী থেকে আত্মীয় সবাই।
ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সম্পূর্ণ গৃহবন্দী থাকা ও সতর্কতা ব্যতীত যে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচার যে আর কোনো উপায় নেই তা আরও একবার প্রমাণিত হল এই ঘটনায়।

You may also like

Leave a Reply!