Home বিদেশ ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবি, গর্ভবতী মহিলা সহ মৃত ২৭ শরণার্থী

ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবি, গর্ভবতী মহিলা সহ মৃত ২৭ শরণার্থী

by banganews

আবার ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে শরণার্থীদের ফ্রান্স থেকে ব্রিটেনে যাওয়ার মরিয়া চেষ্টা আর তাতেই প্রাণ গেল ২৭ জনের। কাকে দোষ দেওয়া উচিত এবং কী করা উচিত তা নিয়ে দুইদেশের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

ইংলিশ চ্যানেলের এই বিপজ্জনক যাত্রা রুখতে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ফ্রান্সকে লেখা একটি চিঠিতে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে যৌথ টহলের আহ্বান জানিয়েছেন। জনসন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার কথাও বলেছেন, যা শরণার্থীদের ফ্রান্সে পুনরায় ফেরত পাঠাতে সাহায্য করবে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সাথে একটি ফোন কলে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রন এই যৌথ টহল প্রসঙ্গে সমর্থন জানিয়ে ব্রিটেনকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগানো থেকে বিরত থাকার” আহ্বান করেছেন।

ফরাসি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের স্বাক্ষাৎকার থেকে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় পাঁচ জন মহিলা ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রয়েছেন এক অন্তঃসত্ত্বাও। মৃতেরা কোন দেশের নাগরিক, তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তদন্ত শুরু হয়েছে। মাঝসমুদ্র থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে সোমালিয়া ও ইরাকের দুই নাগরিককে। এঁদের দু’জনের শারিরীক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার পরই ফরাসি সরকারের তরফে হেলিকপ্টার ও উদ্ধারকারী নৌকা পাঠিয়ে শরণার্থীদের উদ্ধারকাজ শুরু হয়। শরণার্থীদের অবৈধ উপায়ে ব্রিটেনে পাঠানোর চক্রে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই পাঁচজন দালালকে গ্রেপ্তার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ।

 

ভোরের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারত বাংলাদেশ

বিষয়টি নিয়ে ব্রিটিশ ও ফরাসি সরকারের মধ্যে নতুন করে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। ফরাসী কর্মকর্তারা অতীতে বারবার ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করার প্রবণতা বৃদ্ধির জন্য ব্রিটেনকে দায়ী করেছেন। ডারমানিন জানান, ব্রিটেন পাচারমূলক কাজের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা। এই দুর্ঘটনায় তিনি ‘ব্যথিত ও আতঙ্কিত’ বলে জানিয়েছেন বরিস। তবে বরিস সরকারের পাল্টা অভিযোগ এই প্রসঙ্গে আরও কড়া হওয়া উচিত ফ্রান্সের। এই বছরে ইতিমধ্যেই ২৫ হাজার শরণার্থী অবৈধ ভাবে ব্রিটেনে ঢুকেছেন। গত বছরের তুলনায় সংখ্যাটা প্রায় তিন গুণ।

অবশ্য, ইংলিশ চ্যানেলে নৌকাডুবির এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। অতীতে সাঁতার কেটে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে যুক্তরাজ্যে যেতেও চেষ্টা করেছেন শরণার্থীরা। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইংলিশ চ্যানেল পার করার সময় ১৩০০ শরণার্থীকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ফরাসি সরকার। ২০১৯ সালে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়। ফরাসী আধিকারিকেরা আশঙ্কা করছেন এই শীতের মরসুমে সমুদ্র উত্তাল, জল বরফ শীতল। শরণার্থীরা এর পরেও এ ভাবে ব্রিটেন যেতে গেলে আরও বড় দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

You may also like

Leave a Reply!