আগ্রা, ২৯ শে জুলাই, ২০২০ : উত্তরপ্রদেশের আগ্রা জেলায় এক মহিলার শবদেহ জাতিগত বিদ্বেষের দরুন নামিয়ে আনা হয় চিতা থেকে অভিযোগ অস্পৃশ্যদের শেষকৃত্য সর্বসাধারণের শ্মশানে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার দিন আগ্রা জেলার সেই শ্মশানে দায়িত্বপ্রাপ্ত একদল পুরুষ কেবলমাত্র দলিত হবার অভিযোগে এক মৃত মহিলার দেহ অন্তিম সৎকারের জন্য চিতায় তুলতে বাধা দেয়। অপেক্ষাকৃত উঁচু জাতিভুক্ত সেই পুরুষদের বক্তব্য যে শ্মশান ঘাটটি কেবলমাত্র বর্ণ হিন্দুদের জন্য সংরক্ষিত, নিচু জাতের জন্য এই শ্মশান ঘাট উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন মাসের শেষ লকডাউনে শুনশান তিলোত্তমা : ছবি প্রকাশ কলকাতা পুলিশের
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে সেই রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশের উত্তরে কাকারপুরা নামে একটি প্রত্যন্ত গ্রামে সেই মৃতা মহিলার শেষকৃত্য সম্পাদনার সময় ২০০ জন উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষ জমা হন শ্মশান বেদীতে এবং দলিত পরিবারটিকে বাধ্য করে সব দেহ চিতাকুন্ড থেকে বের করে চার কিলোমিটার দূরে নিজেদের গ্রামে নিয়ে যেতে, এবং অবশেষে মহিলার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সেই গ্রামে। বহুজন সমাজবাদী পার্টির মুখ্য মায়াবতী মঙ্গলবার দিন নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন এই ঘটনা দেশের শান্তি ও সহাবস্থান বিঘ্নিত করছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। শুধু তাই নয় ঘটনাটির ভিডিও তৈরি করে সেটি ছড়িয়ে দেওয়া হয় ইন্টারনেটে। মৃতার স্বামী জানিয়েছেন তারা গুজরাটি ‘নাট’ সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ায় বর্ণহিন্দুরা তাদেরকে ছোট চোখে দেখে। মায়াবতী গতদিন হিন্দিতে একটি টুইট করে বলেন উক্ত ঘটনাটি ঘৃণাযোগ্য এবং এই কাস্টিস্ট মানসিকতার বিরুদ্ধে একজোট হতে হবে। এই ঘটনার দায় ঝেড়ে ফেলে পুলিশ জানিয়েছে এখনও পর্যন্ত তাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।