এখন যে কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করতে পারেন। করোনা মহামারীর প্রকোপে এখন স্যানিটাইজার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য। তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রির জন্য মজুতও করতে পারেন যে কোনও ছোট বড় ব্যবসায়ী। এর জন্য কোনও অনুমতিপত্র লাগবে না। দূর দূরান্তে যেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো না সেসব জায়গাতেও যাতে খুব সহজেই মানুষ স্যানিটাইজার পেতে পারেন তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন : ট্রেনে উঠতে গেলে এখন থেকে মানতেই এইসব নিয়ম
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, আপৎকালীন তৎপরতায় এই নিয়ম লাগু হচ্ছে। তবে একটি শর্তও আছে। কোনও ভাবেই এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে যাওয়া দ্রব্য বিক্রি করা চলবে না। এক্সপা তা ড্রাগ অ্যান্ড কসমেটিক্স অ্যাক্টের আওতায় অপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
অল ইন্ডিয়া অরগানাইজেশান অফ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্টের তরফে বলা হচ্ছে, এই সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। কারণ এই সিদ্ধান্তের ফলেই সস্তায় নিম্ন গুণমানের স্যানেটাইজার বিক্রি বাড়বে।সংস্থার তরফে গত সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে আর্জি জানান, যাতে স্যানেটাইজার ওষুধের দোকান ছাড়া কোথাও বিক্রি না হয়।
আরও পড়ুন : সরকারি কর্মীদের দেওয়া হবে প্রভিশনাল পেনশন
একটি স্যানেটাইজার প্রস্তুত করতে সঠিক অনুপাতে ক্লোরহেক্সিডিন, হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড, আইসোপ্রোরাইল অ্যালকোহল, গ্লিসারল, ইথানল(৯৫ শতাংশ) প্রপিলিন লাগে। যখন কোনও ওষুধের দোকান থেকে বিক্রি হয় এই ধরনের স্যানেটাইজার, সরকারি নিয়ামক সংস্থা কোয়ালিটি কন্ট্রোল করে অর্থাৎ দেখে নেয় এই উপাদানগুলি সঠিক অনুপাতে রয়েছে কিনা জানিয়েছেন AICOD-এর জেনারেল সেক্রেটারি রাদীব সিংঘল।
তিনি বলছেন,”এই ক্ষেত্রে স্যানেটাইজারে কোনও কোয়ালিটি কন্ট্রোল থাকবে না। এবার পানবিড়ির দোকানেও স্যানেটাইজার বিক্রি হবে। আর যে স্যানেটাইজার নিজেই গুণমানে খারাপ তা কী করে সংক্রমণ রুখবে!”