অভিযোগ উঠেছিল, ‘মাথায় বন্দুক ধরে ১৫ আগস্ট টিকা আনার কথা বলছে কেন্দ্র। করোনার টিকা অত তাড়াতাড়ি বাজারে আনা অসম্ভব।’ আজ এই অভিযোগেই সিলমোহর বসাল কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কোনও ভাবেই এ বছর ভারতের মানুষের ব্যবহারের জন্য করোনা ভ্যাকসিন বাজারে আনা সম্ভব নয়। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ যখন দাবি করা শুরু করেছে ১৫ আগস্টের মধ্যে বাজারে করোনা টিকা আনবে ভারত, তখন মন্ত্রকের এই বিবৃতি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন করোনা রোধে বাংলা মডেলের অনুসরণ করছে রাজস্থান, প্রশংসায় কেন্দ্র
কী বলা হয়েছে এই বিবৃতিতে? “পুনের আইসিএমআর ইনস্টিটিউশান ন্যাশনাল ইন্সটিউট অফ ভাইরোলজি, হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার মলিকিউলার বায়োলজি এবং ছ’টি ভারতীয় কোম্পানি মিলে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে। বিশ্বের বহু ভ্যাকসিনের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে কোভ্যাক্সিন এবং জিকোভ-ডি নামক ভারতের দুটি ভ্যকসিন হিউম্যান ট্রায়ালের জন্য গিয়েছে। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই ২০২১ সালের আগে এই ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে আনা সম্ভব নয়”, বলা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
আরও পড়ুন কোভিড রোগীদের উপর হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও এইচআইভির ওষুধ প্রয়োগ বন্ধ করল হু
আইসিএমআর-এর পক্ষ থেকে শুক্রবার বলা হয়, ১৫ অগাস্টের মধ্যে ভারতের বাজারে আসতে চলেছে করোনা ভ্যাকসিন। তার জন্য মোট ১২টি প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় সবকটা ট্রায়ালও সেরে ফেলবে বলে জানানো হয়েছিল। যদিও অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস ও ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সস-এর মতো সংস্থাগুলি এই বিবৃতিতে মোটেই সন্তুষ্ট হয়নি। বিজ্ঞানীরা বলেন, এত তাড়াহুড়ো করে করোনা টিকা বাজারে আনলে ফল উল্টো হতে পারে। কারণ স্বাভাবিক ভাবে ট্রায়াল সারতেই ১২ থেকে ১৮ মাস লেগে যায়। এবার সেই বিজ্ঞানীদের কথাই সত্য বলে প্রমাণিত হতে চলেছে।
