Home দেশ সামরিক প্রত্যাহার মেনে আলাপ-আলোচনার পথে আসতে চায় চীন 

সামরিক প্রত্যাহার মেনে আলাপ-আলোচনার পথে আসতে চায় চীন 

by banganews

বেইজিং থেকে সোমবার সকালবেলায় যে তথ্য এসেছে তা থেকে জানা যাচ্ছে ভারত ও চীনের সীমান্তবর্তী সংঘর্ষ আসতে চলেছে শান্তিপূর্ণ সমঝোতায়। উভয় বাহিনীর কমান্ডার স্তরের যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছিল তা দু’দিকেরই এলএসি বা লাইন অফ কন্ট্রোলের উত্তেজনার পারদ নিম্নগামী করবে। চীন জানিয়েছে বর্ডারে সৈন্য অপসারণ ও সামরিক তৎপরতা হ্রাসের জন্য পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। পূর্বের পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মি, কর্পস কমান্ডার মিটিংয়ে নির্ধারিত চুক্তি অনুযায়ী সরে যাচ্ছে তাদের সীমান্তবর্তী অংশে। লাল ফৌজ তাদের সেনা ছাউনি ও সামরিক ইন্সটলেশন গুলি পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ থেকে ইতিমধ্যেই সরিয়ে নিয়েছে। যে স্থানটিকে কেন্দ্র করে গালওয়ান উপত্যকা সংঘর্ষ সংগঠিত হয়েছিল সেই কৌশলগত বিন্দুর দখল ছাড়ছে পিএলএ। উষ্ণ প্রস্রবণ, গালওয়ানের নদীতট ও গোগরা অঞ্চলে চীনের সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জামের পশ্চাদপসরণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। কিছু ভারী আর্মড ভেইকেল উপত্যকার বিচ্ছিন্ন কিছু অংশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও, সামগ্রিক বিচারে ধীরে ধীরে পিছু হটছে চীন। সূত্র মারফত খবর চীন প্রায় ১-২ কিলোমিটার সরে গিয়েছে তাদের অধিকৃত অংশটি থেকে, অগ্রিম সাবধানতা অবলম্বন করে ভারতীয় বাহিনী গোটা বিষয়টির ওপর কড়া নজর রাখছে।

আরও পড়ুন চিনা অ্যাপ ব্যানের পর ‘সেল্ফ স্ক্যান’ নামে একটি নতুন স্ক্যান অ্যাপ আনল রাজ্য

হঠাৎ কেন এই প্রত্যাবর্তন? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনো পর্যন্ত বেইজিং মারফত মেলেনি, তবে গত সাত সপ্তাহ ধরে লাদাখের বিভিন্ন অংশের উভয় বাহিনীর সংঘর্ষ ও শক্তি প্রদর্শনের শেষে হতোদ্যম চীনের সৈন্য অপসারণ শান্তি ফিরিয়ে আনবে সীমান্তে। ১৫ ই জুনের বীভৎস ঘটনার ফলে কুড়ি জন ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু দিয়ে যে চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছিল অবশেষে সেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি স্তিমিত হলো। সেদিনের ঘটনায় চীনের তরফে হতাহতের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ভারতের পক্ষ থেকে বারংবার যে শান্তি ও সহাবস্থানের প্রস্তাব আনা হচ্ছিল তা মেনে নিয়েই পূর্বাবস্থায় ফিরে আসবে লাদাখ।
গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লাদাখ সফরে গিয়ে ভারতবর্ষের অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে চীনা আগ্রাসনবাদের বিরুদ্ধে যে হুংকার দেন, তারই ফলশ্রুতিতে দুদিন যেতে না যেতেই সেনা প্রত্যাহার চীনের।

You may also like

Leave a Reply!