এখনও পর্যন্ত অসমে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোট ২৭টি জেলা। উত্তর- পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের ৩৩টি জেলার মধ্যে ২৭টি জেলাই রয়েছে জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৬.৩৮ লক্ষ লোক। বন্যার জলে ডুবে রয়েছে একরের পর একর চাষের জমি। বন্যা এবং ভূমিধসে এই বছর অসমে মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। এঁদের মধ্যে ভূমিধসে মারা গিয়েছেন ২৬ জন। আর বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৯৩ জনের। মারা গিয়েছে অসংখ্য গবাদি পশু।
গোয়ালপাড়া, বরপেটা এবং মোরিগাঁও এই তিন জেলা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। লাগাতার ভারী বৃষ্টি হওয়ায় ব্রহ্মপুত্র-সহ অসমের একাধিক নদনদীতে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। গুয়াহাটি, তেজপুর, ধুবড়ি এবং গোয়ালপাড়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের জলের মাত্রা বেড়েছে। এ ছাড়াও ধানসিঁড়ি, জিয়া ভরলি, কপিলি, বেকি এবং সঙ্কোশ—-ব্রহ্মপুত্রের এইসব শাখানদী এবং উপনদীতেও জলোর মাত্রা বেড়েছে।
অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি জানিয়েছে, বন্যা কবলিত ১৯ জেলায় এখনও পর্যন্ত ৫৬৪টি ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে। সেখানে ঠাঁই নিয়েছেন ৪৭,৭৭২ জন। সব বন্যা কবলিত এলাকাতেই জোরকদমে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত অসমে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে বন্যা নতুন ঘটনা নয়। তবে এ বছর পরিস্থিতি ভয়াবহ। বন্যার জেরে কাজিরাঙা ন্যাশনাল পার্ক এবং টাইগার রিজার্ভ থেকে লোকালয়ে বেরিয়ে এসে ঠাঁই নিচ্ছে গণ্ডারের দল। তাদের উদ্ধারে তৎপর বনদফতরের কর্মীরা।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়ালের সঙ্গে কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।