আজকের দিনে দাঁড়িয়ে আধার কার্ড একটি অত্যন্ত দরকারি নথি। প্যান কার্ডের আবেদন, গ্যাসের ভর্তুকি থেকে শুরু করে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই প্রয়োজন এই আইডেন্টিটি কার্ড। আধার তৈরি করার জন্য এতদিন প্রয়োজন ছিল যথোপযুক্ত নথিপত্র। প্রাপ্তবয়স্ক লোকেদের জন্য প্রয়োজন ছিল ভোটার আইডি কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট, পাসবুক অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স।
অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য জন্ম তারিখের প্রমানপত্র, এবং অভিভাবকের পরিচয় পত্র। এই দিন আধার কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয় যে প্রামাণ্য নথিপত্রগুলির ন্যূনতম একটিও যদি কারোর কাছে না থাকে, তা হলেও আধার কার্ডের মাধ্যমে নিজের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় পত্র নির্মাণের সুবিধা পেতে পারে সে।
UIDAI এর এনরোলমেন্ট ফর্ম অনুযায়ী এই সমস্ত ডকুমেন্ট ছাড়াও ২ টি উপায় রয়েছে নতুন আধার কার্ড আবেদন করার জন্য।
প্রথম ক্ষেত্রে, পরিবারের প্রধান সদস্যের পরিচয়পত্রের যাবতীয় নথি দাখিল করে অন্য সদস্যরা প্রস্তুত করতে পারেন নিজেদের আধার কার্ড। সেক্ষেত্রে প্রথমে তাকে পরিবারের প্রধান সদস্যের ডকুমেন্টস দিয়ে এনরোলমেন্ট করতে হবে। যে আবেদন করছে তার সঙ্গে পরিবারের প্রধান সদস্যের সম্পর্কের প্রমাণ রাখতে হবে এবং সশরীরে উভয়কে উপস্থিত হতে হবে। এই ক্ষেত্রে যেগুলি ডকুমেন্ট হিসাবে গ্রাহ্য হবে তা হল- পিডিএস কার্ড, জব কার্ড, মেডিকেল কার্ড, পেনশন কার্ড, আর্মি ক্যান্টিন কার্ড, পাসপোর্ট, জন্ম প্রমাণ পত্র, সরকারি হাসপাতালে শিশুর জন্মের সময়কার ডিসচার্জ কার্ড, রাজ্য বা কেন্দ্র সরকারের অন্যান্য পরিচয় পত্র, বিয়ের পরিচয় পত্র, পোস্ট অফিসের নানান নথি, পঞ্চায়েত প্রধান বা বিধায়কের স্ট্যাম্প প্যাডে উভয়ের সম্পর্কের প্রমাণপত্র।
আরও পড়ুন : রেলের বেসরকারিকরণ হবে না ঘোষণা রেলমন্ত্রীর
এই প্রক্রিয়াটি ব্যতিরেকে রয়েছে অপর একটি অভিনব পদ্ধতি যেখানে একজন ব্যক্তি আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারে সাক্ষাৎকার দিয়ে আবেদন করতে পারেন এই কার্ডের জন্য। সে ক্ষেত্রে যিনি সাক্ষাৎকার করাচ্ছেন তার আগে থেকেই আধার কার্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা আধিকারিক যদি মনে করেন, কোন ব্যক্তির কাছে প্রয়োজনীয় নথি নেই অথচ তার আধার কার্ড হওয়া উচিত, তাহলে এই পদ্ধতি মেনে উক্ত ব্যক্তি বানিয়ে নিতে পারবেন স্বতন্ত্র পরিচয়পত্র।