Home দেশ কৃষক আন্দোলন নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

কৃষক আন্দোলন নিয়ে আজ শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

by banganews

দিল্লি, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২০ঃ কৃষক আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করেছে। আজ কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠন দুপক্ষের উপস্থিতিতেই শুনানি হবে তবে কৃষক নেতাদের দাবি সুপ্রিম কোর্ট আগে তিন আইনের বৈধতা বিচার করক। এদিকে দেশের শীর্ষ আদালত দুপক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে যদিও সেই প্রস্তাব মানতে নারাজ কৃষক সংগঠন। এরই মধ্যে গতকাল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবডে বলেন, ‘‘কৃষকদের প্রতিবাদ খুব শীঘ্রই জাতীয় বিষয় হয়ে উঠবে”। এদিকে কালকে এই মন্তব্যের পরই নতুন মোড় নিয়েছে কৃষক আন্দোলন। দিল্লি হরিয়ানা সীমানার সিঙ্ঘু সীমান্তে সন্তু রাম সিং গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। দিল্লি শিখ গুরুদ্বারা প্রবন্ধক কমিটির চেয়ারম্যান মনজিন্দর সিংহ সিরসা জানান, কৃষকদের দুর্দশা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন সন্তু রাম সিং। একটি চিরকুটে তিনি লিখেও গেছেন , “আমার মন ব্যথিত। কৃষকদের উপর জুলুমের এটাই আমার প্রতিবাদ। কেউ নিজের পুরস্কার ত্যাগ করেছে। আমি নিজের জীবন ত্যাগ করলাম।” স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে। এতে কৃষক আন্দোলন আরও জোরদার হবে। তবে এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষক নেতারা।

আরও পড়ুন স্বচ্ছ পদ্ধতিতে স্পেকট্রাম নিলামের ছাড়পত্র দিল কেন্দ্র

 

গতকালই আইন সংশোধনের প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্ত কেন্দ্রকে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে। কৃষক সভার নেতা হান্নান মোল্লার বক্তব্য, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট যা বলেছে, তা কেন্দ্র প্রথমেই বলেছিল। কৃষকরা তাতে রাজি হননি।’’ স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট তিন আইনের বৈধতা বিচার করুক। এই সব আইন প্রয়োজন কি না, তা দেখা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয়।” অন্যদিকে মোদী সরকারের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, কৃষকরা আইন প্রত্যাহার করা হবে কি হবে না, এর উত্তর ছাড়া আর কোনও কথা শুনতে রাজি নয়। তাই বিভিন্ন মন্ত্রীরা কথা বললেও কোনও লাভ হয়নি। একই সঙ্গে তিনি বলেন ‘‘এখন মনে হচ্ছে, অন্য স্বার্থান্বেষী শক্তি কৃষকদের প্রতিবাদের রাশ হাতে তুলে নিয়েছে।’’ তবে কেন্দ্র চাষিদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করবে না, জানান মেহতা। এছাড়াও রাস্তা আটকে প্রতিবাদের প্রেক্ষীতে এক আইনের ছাত্র কৃষকদের সড়ক অবরোধ তোলার দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন।

আরও পড়ুন বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে জিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ মুকেশ আম্বানির

এসব প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন ‘‘কৃষকদের যখন সমস্যা হচ্ছে, তখন এ কথা বলে কী লাভ?’’ তিনি বলেন, “অধিকাংশ মামলাই ভাবনাচিন্তা ছাড়াই দায়ের হয়েছে। আন্দোলনকারীরা যাতায়াতের স্বাধীনতায় বাধা দিচ্ছেন। এ ছাড়া আর কোনও আইনি প্রশ্ন নেই। এর আগে শাহিন বাগের প্রতিবাদের প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল, সড়ক আটকে প্রতিবাদ চলতে পারে না। কিন্তু আজ সেই যুক্তি শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, এতে কোনও লাভ হবে না।

You may also like

Leave a Reply!