অতিমারীর প্রভাব নীল ছবির জগতেও। বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ছে কোভিড পর্নোগ্রাফির। বিশ্বে যখন যা কিছু ঘটে সেটাই ট্রেন্ড হয়ে ওঠে নীল ছবিতেও। করোনার প্রভাবে বদলেছে মানুষের যৌন চাহিদাও। করোনা পর্নগ্রাফি দেখার চাহিদা বাড়ায় ব্যবসা বাড়াতে এই বিষয়কে কেন্দ্র করে পর্ন ভিডিও তৈরির পরিমানও বহুগুন বাড়িয়েছেন নীল ছবির নির্মাতারা।
মানুষ করোনা আপডেট জানতে করোনা লিখে সার্চ করছেন প্রতিমুহূর্ত। আর সেটাই কাজে লাগিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর খেলায় মেতেছে প্রাপ্তবয়স্ক ভিডিও-র নির্মাতারাও। করোনা লিখে সার্চ করলেই করোনাভাইরাসকে নিয়ে কেন্দ্র করে তৈরি পর্ন ভিডিওগুলি চলে আসছে কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনে।
পর্নহাবের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিদিন ১ মিলিয়ন বার কোভিড লিখে সার্চ করা হয়েছে। কার্টুন পর্নোগ্রাফি যাঁরা দেখেন তাদের মধ্যেও এই ধরনের পর্ন দেখার চাহিদা বেড়েছে অনেকটাই। ভিউয়ার্সদের দেখা ভিডিও ক্লিপগুলির কোনওটির নায়ক এক পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মী যিনি হ্যাজম্যাট পোষাকে সজ্জিত হয়ে হাসপাতালের মহিলা রোগীর দেখভাল করতে করতেই দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করছেন।
কোনওটির নায়ক ট্রান্সপোর্টেশন সিকিওরিটি এজেন্ট যিনি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে এক মহিলাকে আটক করে মেতে উঠেছেন শারিরীক খেলায়। কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় থাকা, করোনা প্রতিরোধে মুখে মাস্ক এবং করোনা রোগের প্রতিরোধে অন্যান্য সুরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহারের দৃশ্যের সাথে সাথে ফুটে উঠেছে যৌনতা।
স্কুল খুলতেই বিপত্তি, করোনা আক্রান্ত দুই শিক্ষক
মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষ সেটাই নীলছবিতে দেখতে পছন্দ করে যা তাদের নিজেদের জীবনে ঘটছে। তাই ক্রমশ মানুষের মধ্যে এই ধরণের পর্নগ্রাফি দেখার চাহিদা বাড়ছে। যা অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা।
