জম্মু কাশ্মীরের অনন্তনাগে সেন্ট্রাল রিসার্ভ পুলিশ ফোর্সের( সিআরপিএফ) একজন জওয়ান ও এক স্থানীয় ছয় বছরের বালককে নাশকতা হামলায় হত্যা করেছিল সেখানকার এক দুষ্কৃতি। গত সপ্তাহের এই ঘটনায় অভিযুক্ত অপরাধীকে খুঁজে বের করা হল। গতকাল রাত্রেই শ্রীনগরের একটি এনকাউন্টারে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জানা গিয়েছে এই হামলাকারীর নাম জাইদ দাস, মঙ্গলবার অনন্তনাগে সুরক্ষা বাহিনীর দ্বারা তাকে ঘিরে ফেলা হলেও তাদের চোখে ধুলো দিয়ে সে পালাতে সমর্থ হয়। স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের একটি বিশেষ শাখার বাহিনী ও সিআরপিএফ এর সম্মিলিত প্রয়াসে একটি যৌথ অপারেশন চালিয়ে কাল রাতে শ্রীনগরের মালবাগ এলাকা থেকে তাকে খুঁজে বের করা হয়। এই অভিযানে এদিন আরো এক সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারায়। গত সপ্তাহের অনন্তনাগ হামলায় বিজবেহরা অঞ্চলের পাদশাহী বাগ ব্রিজের একটি খোলা রাস্তায় সৈনিকটি মারা যান। ছয় বছর বয়সী নিহান ভাট একটি পরিত্যক্ত পার্কিংয়ে রাখা গাড়ির ভিতরে নিশ্চিন্ত নিদ্রায় ছিল যখন অতর্কিতে একটি বুলেট এসে তার বুকে বিদ্ধ হয়। ২৬ শে জুনের এই ঘটনাটি স্থানীয় অধিবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণার জন্ম দেয়। আততায়ী জঙ্গী একটি বাইকে করে আসে এবং অটোমেটিক পিস্তল থেকে গুলি ছোড়ে। ঘটনাটির পরপরই তৎপরতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীকে শনাক্ত করে তার ছবি প্রকাশ করা হয়। জানা যায় যে সে একটি ইসলামিক স্টেট রেডিক্যাল গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
মঙ্গলবার মোট তিনজন সন্ত্রাসবাদীকে ঘিরে ফেলা হলেও জাইদ বাদে বাকি দুজন সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয়। সূত্র মারফত খবর মোট ৪৮ জঙ্গিকে গতমাসে নিকেশ করেছে সেখানকার সুরক্ষা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীরের পুলিশ চিফ দিলবাগ সিংহ জানান গত আড়াই মাসে ১০০ জন আতঙ্কবাদীকে শেষ করা হয়েছে। হিজবুল মুজাহিদীন, লস্কর-ই-তইবা, এবং জাইস-ই-মোহাম্মদ গোষ্ঠীকে বহুলাংশে নিষ্ক্রিয় করে ফেলা হয়েছে। অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্রতর সংগঠন যেমন আল-বদর ও আনসার গাজওয়াতুলকে এলাকা থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে।