TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

মাস্ক পরা নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

করোনা মহামারীকে এখনো মুছে ফেলা যায়নি দৈনন্দিন জীবন থেকে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে৷ নানান বিধিনিষেধের মধ্যে কাটছে জীবন৷ তার মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হল মাস্ক পরা৷ এখন মাস্ক পরা আর স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জীবনের এক অঙ্গ বলে মনে করতে বলেছেন চিকিৎসকেরা।

এই মাস্ক পরা নিয়েই সাধারণ মানুষের একটা প্রশ্ন হল – আর কতদিন পরতে হবে মাস্ক? নীতি আয়োগের সদস্য ভি.কে.পল জানিয়েছেন, এখনই মাস্ক খোলার কোন প্রশ্নই উঠছে না। করোনার টিকাকরণের পাশাপাশি দরকার সামাজিক দূরত্ববিধি। তবেই মিলবে এই মহামারী থেকে মুক্তি।

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাকে উড়িয়ে না দিয়ে তিনি বলেছেন- সামনেই একের পর এক উৎসবের সময়। বিশাল জনসমাগম হবে চারিদিকে। তাই এই সময়টায় করোনা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কিন্তু আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, করোনার টিকা যেমন এসেছে তেমনই ওষুধও আসবে খুব শিগগির। ভারতে তৈরী কো-ভ্যাকসিন খুব শীঘ্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়ে যাবে। সব ঠিক থাকলেই আগামী মাসের মধ্যেই সবুজ সংকেত পেয়ে যাওয়ার আশাবাদী তিনি।

সম্প্রতি জানা গিয়েছে গোটা দেশ জুড়ে যে ২৮টি জেনোম সিকোয়েন্সিং রয়েছে অর্থাৎ করোনার বিভিন্ন রূপ নির্ণয় করার প্রক্রিয়া কেন্দ্র রয়েছে, সেগুলির মধ্যে অন্যতম হল ভুবনেশ্বরে অবস্থিত “ইনস্টিটিউট অব লাইফ সায়েন্স” গবেষণাগারটি।
এই গবেষণাগারের টিমের সদস্যদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে দেখা গেছে প্রত্যেক সদস্যদের ২টি করে ডোজ নেওয়া সত্ত্বেও তাদের মধ্যে ২৩জনের দেহে কোন অ্যান্টিবডি নেই অর্থাৎ অ্যান্টিবডির রিপোর্ট নেগেটিভ।

আরো পড়ুন 

রাজ্যের তরফে বিনামূল্যে মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং কোচিং, আজই আবেদন করুন

এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডাঃ অজয় পারিদা জানান, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় পর অনেকের শরীরে এই অ্যান্টিবডির মাত্রা ৩০-৪০ হাজার হয়ে যায়। কখনো তা ৫০ এর নীচেও থাকতে দেখা যায়। যদি অ্যান্টিবডির মাত্রা কারও শরীরে ৬০-১০০ মধ্যে থাকে তবে তার অ্যান্টিবডির রিপোর্ট পজিটিভ বলে ধরা হবে।

ভারতে তৈরী দুটি ভ্যাকসিন কোভিডশিল্ড ও কো-ভ্যাকসিন নেওয়া টিকাপ্রাপ্তের দেহে এই অ্যান্টিবডির পরিমাণ হতে পারে ৭০-৮০%। তাই বাকি ২০-৩০% টিকাপ্রাপ্তের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরী নাও হতে পারে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রির্পোট হাতে এলে তবেই আইসিএমআর বুস্টার ডোজের অনুমোদন মিলবে। তাই ততদিন মাস্ক পরা বন্ধ করার কোন প্রশ্নই উঠছে না।