TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

রাতে স্বপ্নাদেশ পেয়ে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন শ্যামাসুন্দরী দেবী

জয়রামবাটির জগদ্ধাত্রী পুজো  প্রায় দেড়শোর বছরের পুরনো। শুক্রবার সকাল থেকেই দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন জয়রামবাটির মাতৃ মন্দিরে। জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে শুক্রবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনের নাটমন্দিরে পুজো শুরু হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সীমিত সময়ের জন্যে পুজো দেখার সুযোগ পেয়েছেন দর্শনার্থীরা।

 

জয়রামবাটির এ পুজোর পিছনে নানা কথা শোনা যায়। কথিত, স্বপ্নাদেশ পেয়ে নিজগৃহে এই পুজো শুরু  করেন সারদা দেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী। বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে তিনদিনব্যপী এই পুজো করা হয়।

এক সময়, গ্রামের মুখোপাধ্যায় পরিবারের বিখ্যাত  কালীপুজোতে নৈবেদ্য দেওয়ার জন্য সারা বছর  ধান সেদ্ধ করে তা তুলে রাখতেন সারদা দেবীর মা শ্যামাসুন্দরী দেবী।

 

কালী পুজোর সময় সেই নৈবেদ্য পাঠানো হত মুখোপাধ্যায় পরিবারের কালী মন্দিরে। প্রায় দেড়শো বছর আগে কোনো কারণে সেই নৈবেদ্য ফিরিয়ে দেওয়া হয় শ্যামাসুন্দরীদেবীর কাছে।

 

সুখ সমৃদ্ধি কামনায় ছটী মাইয়াকে অর্ঘ্যপ্রদান

সেই নৈবেদ্য নিয়ে তিনি কী করবেন ভাবছেন এমন সময় রাতে স্বপ্নাদেশ পান শ্যামাসুন্দরী দেবী। বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো করে ওই চাল নৈবেদ্য হিসাবে উৎসর্গ করার। তখন থেকেই জয়রামবাটিতে নিজের বাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু করেছিলেন শ্যামাসুন্দরী দেবী। তাঁর মৃত্যুর পর এ পুজো পরিচালনা করতেন সারদা দেবী। ১৯১৯ সালেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় জয়রামবাটিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। পরবর্তীকালে জয়রামবাটিতে মাতৃ মন্দির প্রতিষ্ঠার পর মঠের উদ্যোগে জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন করা হয়।