TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

বিদ্রোহী শচীন পাইলট যোগ দিচ্ছেন না বিজেপিতে

জাতীয় কংগ্রেসের ভিতরের অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও একবার চলে এলো প্রকাশ্যে, এবার রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট সেখানকার কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের বিরুদ্ধে অনলেন অনাস্থা প্রস্তাব। গতদিন জাতীয় রাজনীতিতে এই চর্চাই চারিদিকে গুঞ্জরিত হচ্ছিল যে, তাহলে কি কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন কংগ্রেসের এই তরুণ তুর্কি শচীন পাইলট? রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী জানান তার কাছে রয়েছে প্রায় ৩০ জন বিধায়কের সমর্থন,নিজের সমর্থন সরিয়ে নিলে ক্ষমতাসীন সরকার হয়ে দাঁড়াবে সংখ্যালঘু। দেশব্যাপী জল্পনা-কল্পনার আগুন আরো একটু উসকে দিয়ে জানান সোমবার দিন জাতীয় কংগ্রেসের ডাকা বিধায়কদের বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন না।
আরও পড়ুন :  হেমতাবাদে বিজেপি বিধায়াকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার
পরিস্থিতি বর্তমানে এরকম যে ২০০ টি বিধানসভা আসন সম্পন্ন রাজস্থানে কংগ্রেসের সমর্থনে বিধায়কদের সংখ্যা এখনো পর্যন্ত ১০৭, পাইলটের দাবি অনুসারে ৩০ জন বিধায়ক তার কথামতো ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকারের থেকে সমর্থন উঠিয়ে নিলে, অশোক গেহলট হারাবেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা।
সে রাজ্যে বিজেপির প্রাপ্ত সিট সংখ্যা ছিল ৭২, এছাড়াও নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করা ১২ জন বিধায়ক শচীনের কথামতো তার সঙ্গেই রয়েছে। এমতাবস্থায় পাইলট তার অনুগামীদের নিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদান করলে রাজস্থানে মরুভূমিতে ফুটতে পারে পদ্মফুল। কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রতি জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার মতোই বিক্ষুব্ধ শচীন পাইলট, রবিবার দিনভর এই রাজনৈতিক তরজা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলে।
আরও পড়ুন :  বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত  বৃষ্টির সম্ভাবনা বাংলায়
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী শচীন পাইলট জানিয়েছেন তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন না, অথচ জাতীয় কংগ্রেসের হুইপ জারি করা সত্বেও বিধায়কদের বৈঠকে না যাওয়ায়, অনেকে মনে করছেন নিজের দল গড়বেন এই তরুণ নেতা। সেক্ষেত্রে নির্দল ও বিজেপির সমর্থন পেলে রাজস্থানের বিধানসভা দখলের ম্যাজিক ফিগার ১০১ টপকে যেতে পারেন তিনি।
দলের ভেতরের অন্তর্দ্বন্দ্বে দিশেহারা রাজস্থান কংগ্রেস দল গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। অশোক গেহলটের বাসভবনে কাল গভীর রাতে একটি দলীয় সমাবেশ হয়, এরপর আজ সকালবেলা রাজস্থান কংগ্রেসের মুখপাত্র অবিনাশ পান্ডে বিবৃতি দেন অশোক গেহলটের সরকারের ওপর আস্থাশীল ১০৯ জন বিধায়ক স্বাক্ষর করে সমর্থন জানিয়েছেন। জাতীয় রাজনীতিতে ঘোড়া কেনা বেচার মতো ক্ষমতা ও অর্থের বিনিময়ে বিধায়কদের দলবদলের ঘটনা নতুন নয়। রাজস্থান বিধানসভা দখলের লক্ষ্যে কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে যে ওলটপালট চলছে তার পরিণাম কি হয় সেদিকে তাকিয়ে গোটা দেশের রাজনৈতিক মহল।