করোনার প্রকোপে এই বছর জগন্নাথধাম পুরীতে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে রথযাত্রার আয়োজন।
কথিত রয়েছে , যদি পুরীর রথের চাকা না ঘোরে, তাহলে সেই বছরের রথের পর আগামী ১২ বছর রথের চাকা ঘুরবে না পুরী ধামে। তাই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, কেবলমাত্র সেই ৫০০ জন রথযাত্রায় অংশ নিতে পারবেন।
নির্দিষ্ট সময়সূচি মেনেই, সকাল ১০ টায় মদনমোহন বিজে অনুষ্ঠান, সাড়ে ১০ টা থেরে ১১ টা নাগাদ চিতা লাগি অনুষ্ঠান, সাড়ে ১১ টা নাগাদ ছেড়া পাহারা অনুষ্ঠান এবং দুপুর নাগাদ শুরু হবে রথযাত্রা।
আরও পড়ুন রথযাত্রা ‘ডিজিটাল’ লোকারণ্য মহা ধুম-ধাম
শুক্রবার মন্ত্রিসভার সঙ্গে বৈঠক করেন ওড়িশার মুখ্যনন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক৷ রথ যাত্রার যাবতীয় অনুষ্ঠান পুরীর মন্দিরের ভেতরেই করার নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশা সরকার৷ পুরীর বাসিন্দাদেরও রথ যাত্রায় অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। মাস্কসহ সামাজিক দূরত্ব মেনে পুরীর রথে দড়িতে পড়বে টান ৷ রথ টানবেন মন্দিরের দেড় হাজার সেবায়েত। সরকারি ভাবে যদিও ১২০০ সেবায়েতের কথাই বলা হচ্ছে। রথের রশি টানার আগে সেবায়েতদের কোভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে৷
আরও পড়ুন আজ রথযাত্রা – লোকারণ্য ধুমধাম ছাড়াই করোনা আবহে পুরীর রথযাত্রা
মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি জানান, “সকাল সাতটায় রথে উঠবেন মহাপ্রভু। তারপর রাজা এসে ঝাড়ু দেবেন। মহাপ্রভুর দর্শন করবেন শঙ্করাচার্য। এই সব রীতি নীতি মিটিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ জগন্নাথ দেবের রথ গুন্ডিচায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।” তিন কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে মহাপ্রভুর রথ।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানান। করোনা মোকাবিলা ও বিশ্ব শান্তির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে মঙ্গলবার রথযাত্রায় বিশেষ পূজা পাঠ করবেন বলেও জানান রাজেশ দৈতাপতি।