TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

ভারত এবং নেপাল সীমান্তে আটকে পড়েছেন পরিযায়ীরা। পথেই তাদের বাস করতে হচ্ছে

কাজের সন্ধানেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে নেপালে গেছিলেন তাঁরা। কেউ কেউ একা, কেউবা নিজের স্ত্রী ও শিশু সন্তান নিয়ে। স্রেফ রোজগারের জন্যই। আজ তাঁরা ‘ পরিযায়ী শ্রমিক ‘। গত তিন চারদিন ধরে তারা রাস্তাতেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। ভারত -নেপাল সীমান্তে। হাজারের ওপর শ্রমিক তাঁদের পরিবার ও শিশু নিয়ে ‘ আটকে ‘ রয়েছেন এই দুই দেশের সীমান্তে।

অভিযোগ, ভারত -নেপাল সীমান্তে পাহারার দায়িত্বে রয়েছে যে বাহিনী তারাই ওই শ্রমিকদের পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে দিতে অস্বীকার করছে। তার ফলেই খোলা আকাশের নীচে পথে আটকে পড়েছেন ওই শ্রমিকেরা। জানা গেছে, এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কোনোরকমে খাবার যোগাচ্ছেন স্থানীয় কিছু সংগঠন।
এই পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা যে আক্ষরিক অর্থেই ভীষণ করুণ তা নিজেরাই জানিয়েছেন তাঁরা। সেখানে উপস্থিত সংবাদমাধ্যম এর প্রতিনিধিদের দেখে কেঁদে ফেলেছেন তাঁরা। জোড়হাতে আবেদন জানিয়েছেন কোনোভাবে, কোনো উপায়ে যদি তাঁদের দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়। এই আটকে পড়ার শ্রমিকদের তালিকায় যেমন রয়েছেন হুগলী জেলার আখতার মল্লিক তেমন রয়েছেন বাঁকুড়ার বীরেন মন্ডল। মেদিনীপুর থেকে যাওয়া এক শ্রমিকের স্ত্রী কাঁদতে কাঁদতে জানিয়েছেন একে লকডাউনে তাঁরা কাজ হারিয়েছেন। টাকা নেই হাতে। তাই বর্তমানে লকডাউন একটু শিথিল হতেই দেশের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখানে অর্থাৎ সীমান্তে তাঁদের আটকে দিয়েছেন রক্ষী বাহিনীর দল। অবস্থা এতটাই সঙ্গীন যে তাঁদের শিশুকেও দুধ খাওয়াতে পারছেন না।
অন্য একজন শ্রমিক আখতার মল্লিক জানিয়েছেন, লকডাউনের ফলে তাঁদের হাতে কাজ নেই। এতদিন পর নেপাল সরকার আমাদের দেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। সেজন্যই বর্ডার অবধি তাঁরা এসেছিলেন। তারপর এখন দেখছেন পুলিশই দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না তাঁদের।

আরো পড়ুন- টমাস স্টিভেন্স সানফ্রানসিসকো থেকে রওনা হয়ে সাইকেলেই সর্বপ্রথম বিশ্বভ্রমণ করেন৷

ওঁনার মতো এই সীমান্তে আটকে পড়া বাকি শ্রমিকদের গলায় একই সুর, “আমরা তো যা টেস্ট করতে বলবে, যেখানে কোয়ারেন্টিনে রাখবে, তাতেই রাজী। কিন্তু দেশে যেতে দেওয়া হোক আমাদের,”।

তিনি আরো বলেন, “তিন দিন ধরে এভাবে পড়ে আছি আমরা। বেশ কয়েকজন গর্ভবতী আছেন, বাচ্চারা আছে। কখনও ভীষণ গরম, কখনও বৃষ্টি হচ্ছে। কী দোষ করেছি আমরা যে এভাবে ভুগতে হবে আমাদের?”

আরো পড়ুন – ফের পিছিয়ে গেল উচ্চমাধ্যমিক, পরীক্ষা সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা

এত মানুষকে কোথাও আশ্রয় দেওয়ার উপায় নেই ওই ছোট শহরে। তাই মঙ্গলবার থেকে কাকরভিটার বেশ কিছুটা আগেই ভারতীয় শ্রমিকদের সীমান্তে বয়ে নিয়ে আসা বাসগুলি আটকে দেওয়া হচ্ছে।

কাকরভিটায় যারা পৌঁছেছেন, তাদের স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তিনবেলা খাবার দিচ্ছে। কিন্তু মেদিনীপুরের শ্রমিক অমিয় আদকের মতো যারা কাকরভিটা শহরে আসতে পারেন নি, তাদের সারাদিন কিছুই জোটেনি।