পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে ৪৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বই মেলার উদ্বোধন করেছেন। এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০তম বছর। সেই কথা মাথায় রেখে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুকসেলার গিল্ড, মেলার আয়োজকরা এইবছরের বইমেলাতে বাংলাদেশকে নিয়ে বিশেষ আয়োজন করেছেন।
বইমেলা উদ্বোধনের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের যে সৌহার্দ্য এবং সংযোগ তা চিরন্তন। যদিও পশ্চিমবঙ্গ এখন ভারতের একটি রাজ্য এবং বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ, তবুও আমরা সংস্কৃতির দ্বারা সংযুক্ত এবং শারীরিক বিভাজন কখনই মানুষকে বিভক্ত করতে পারেনি।” দেশভাগের ইতিহাসের উপর জোর দিয়ে, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সত্যটি তুলে ধরেন যে, উভয় দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাঙালি নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা।
মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন এবং বাংলাদেশের ভাই ও বোনদের প্রতি শুভেচ্ছাও জানান। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা এবং কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব হল ভারতের দুটি সবচেয়ে প্রাণবন্ত উৎসব। শুধুমাত্র অনুপস্থিত একটি আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গীত উৎসব, এবং আমরা আগামী বছর থেকে একটি শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।” তিনি সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন, ‘বইমেলা প্রাঙ্গন’। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরো বলেছেন, “এটি বইমেলার গৌরবকে বাঁচিয়ে রাখবে।”
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অভিনব প্রকল্প দুয়ারে সরকারের অভূতপূর্ব সাফল্য
মুখ্যমন্ত্রী যুদ্ধের অবসান এবং দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমি কোনো দেশের পক্ষে বা বিপক্ষে কথা বলতে চাই না, আমি শুধু চাই বিশ্ব শান্তি। ভারত সবসময় শান্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছে এবং বিশ্বকে পথ দেখিয়েছে। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখে শান্তির পথ প্রশস্ত করার অনুরোধ জানিয়েছি। যাঁরা যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদছে।”