TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

কলেজের ইংরাজি শিক্ষক বেঁচে থাকার লড়াইতে বেছে নিয়েছেন মিস্ত্রির কাজ

জীবন বড়ই কঠিন বড়ই অদ্ভূত। আমরা এই জীবনে সব কিছু আমাদের কাছে চিরস্থায়ী করে পেতে চাই কিন্তু ভুলে যাই যে আমাদের জীবনটাই আসলে অস্থায়ী।সারাজীবন মানুষ যা সঞ্চয় করে রাখে এক নিমেষে তাকে সব ফেলে রেখে চলে যেতে হয় তবু মন বড় অবুঝ, তাই জীবনের শেষ মুহূর্তেও নিজের সব কিছু আগলে বাঁচতে চায় সে।এই বছর আর এও বছরের মহামারী আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল টাকা থাকলেও বাঁচা যায় না।
এই মহামারী তে মানুষ হারিয়েছে তার কর্মসংস্থান যার জেরে দু বেলা ঠিক মত খাবার জুটছে না অনেকেই। শুধু পরিযায়ী শ্রমিক না স্থায়ী বাসিন্দা ও হারাচ্ছে কাজ। এর ফলে মানুষ তার চেনা গন্ডী থেকে বেরিয়ে এসে উপার্জনের রাস্তা বেছে নিচ্ছে।

আমফানে মৃতের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী 

এমনটাই একটা জীবন বেছে নিয়েছেন কেরালার পরেলিমীথা বাবু। তিনি পেশায় ইংরেজি ভাষায় শিক্ষক। কেরালা তে একটা প্যারালাল কলেজের শিক্ষক তিনি। প্রথম প্রথম বেশ ভালোই চলছিল তার এই শিক্ষকতা করে কিন্তু পরের দিকে তার কলেজের ছাত্রের সংখ্যা কমতে শুরু করে তাই লক ডাউন এর আগে তিনি সেরকম কিছু সঞ্চয় করে উঠতে পারেননি। এদিকে তার পরিবারে আছেন তার স্ত্রী ও দুই সন্তান। এরকম অবস্থায় তাকে অন্য পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হন তিনি। এই দুর্যোগের সময়ে তাকে সাহায্য করেন তার বন্ধু ও সহকর্মী পিটি শশী। তার পরামর্শে তিনি জোগাড়ের কাজ শুরু করেন যদিও এই কাজ তার কাছে নতুন না।

মাধ্যমিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ করার পরেই তার জীবনে নেমে আসে দুর্যোগ।এই দুর্যোগের দিনে তিনি দিনমজুর এর কাজও করেছিলেন। এর পর তিনি কাজ করতে শুরু করেন চেন্নাই এর একটি চায়ের দোকানে। সেখানে তিনি ইংরেজী কাগজ পড়ে পড়ে ইংরেজী ভাষা রপ্ত করেন। এর পর তিনি ফিরে আসেন কেরালায়। সেখানে তিনি ইংলিশ অনার্স নিয়ে বি এ পাস করেন। এর পর ১৮ বছর বয়সে তিনি সেখানেই শিক্ষকতার সুযোগ পান। দীর্ঘ ১২ বছর তিনি শিক্ষকতা করেন সেখানে।

১৫০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে বাবাকে গুরুগ্রাম থেকে দ্বারভাঙ্গা নিয়ে এলেন মেয়ে।

নেমে আসে করোনা র প্রকোপ। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় কলেজ। আস্তে আস্তে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করে। এই সময়ে শশী না থাকলে তাকে না খেয়ে থাকতে হত। এই বন্ধুর পরামর্শে তিনি আবার ফিরে যান তার পুরোনো কাজে। অবশ্য তাকে এই কাজে তার স্ত্রী বাধা দেন নি। কিন্তু ৫৫ বছরের এই ব্যক্তির শরীর ভেঙে পড়েছে বয়সের ভারে। এর ওপর আবার করোনা র ভয়। তাও তিনি তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তার পরিবারের জন্য। কতদিন এই কাজ তাকে চাইলে যেতে হবে সেটা একমাত্র ঈশ্বর বলতে পারবেন।