TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির প্রাণী ঘড়িয়াল নেপাল থেকে হুগলি চলে এলো

লকডাউন এরমধ্যে বিলুপ্তপ্রায় বিরল প্রজাতির প্রাণী ঘড়িয়াল নেপাল থেকে হুগলি চলে এলো। প্রায় ১১০০ কি মি পথ অতিক্রম করে সে বাংলায় পৌঁছেছে। হুগলির রানীনগর ঘাটে মৎস্যজীবীদের জালে জড়িয়ে ধরা পড়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ঘড়িয়ালটিকে। কিন্তু সকলেই বিস্মিত যে কিভাবে এতটা পথ পেরিয়ে সে এখানে এসে পৌঁছলো! ওয়ার্ল্ড ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া (WTI)র পক্ষ থেকে নিশ্চিত করে বলা হয়েছে যে ঘড়িয়ালটি নেপাল থেকেই এসেছে।

আরো পড়ুন – বি জে পি লিডার চান বিরাট বিবাহ বিচ্ছেদ দিক অনুস্কা শর্মাকে কেন জানতে চান ?

তাছাড়াও এটির গায়ে এমন মার্কিং তারা লক্ষ্য করেছেন যে নেপালের এই প্রজাতির প্রাণীর গায়ে সাধারণত থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন কিছুতেই বুঝতে পারছেন না যে এতটা পথ সে এলো কি করে? তবে তারা ঘড়িয়ালটির যাত্রাপথ সম্পর্কে একটা ধারণা দিতে পেরেছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন যে ঘড়িয়ালটি নেপালের গণ্ডক থেকে গঙ্গা এসে পড়ে এবং পরে সেটি ফারাক্কা হুগলিতে পৌঁছয়। ইতিমধ্যে নেপালের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। WTI র ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে সুব্রত বেহরা নেপালের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করেন। সুব্রতবাবু নিজেও গণ্ডক নদীতে ঘড়িয়াল পুনর্বাসন কর্মকাণ্ডে জড়িত।নেপালের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে নারায়ণী ও রাত্রি নদীর মিলনস্থলে ঘড়িয়াল দিকে ছাড়া হয়েছিল তারপর সে এতটা পথ অতিক্রম করে পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে।

আরো পড়ুন – ২৫তম বিবাহ বার্ষিকীতে পরিবারের জন্য নিজহাতে রান্না করলেন শচীন

ইতিমধ্যেই তারা ঘড়িয়ালটির পরিচয় নিশ্চিত করেছে। প্রায় দুমাস ধরে জলপথে পাড়ি দিয়ে ঘড়িয়াল হুগলি পৌঁছেছে বলে মনে করা হচ্ছে।অনেকেই বলছেন শুধু পরিযায়ী শ্রমিকরা মাইলের পর মাইল হচ্ছে তা নয় এই ভিনদেশের ঘড়িয়ালও কম পথ অতিক্রম করেনি। ঘড়িয়ালটিকে অবশ্য উদ্ধারের পর আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে বিলুপ্তপ্রায় এমন ঘড়িয়ালের সংখ্যা ৬৫০টি।এই সরীসৃপ প্রাণীর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই কুমির বিশেষজ্ঞ এবং WTI র একজন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য জানিয়েছেন গরম অথবা বর্ষার সময় না ছেড়ে ঘড়িয়ালটিকে শীতকালে ছাড়া উচিত ছিল।কারণ এতে পরিবেশের সঙ্গে আরো ভালো ভাবে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার সুবিধা পেত প্রাণীটি।