TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

কেঞ্জাকুড়ার ঐতিহ্য মেগা জিলিপি

বাঁকুড়া জেলার কেঞ্জাকুড়া অঞ্চলটির কাঁসা, পিতল, গামছা ও তাঁত শিল্পের জন্য বিখ্যাত বটেই৷ সেইসঙ্গে কেঞ্জকুড়ার মেগা জিলিপিও বিখ্যাত৷ বিশ্বকর্মা পুজোয় মেগা জিলিপি নিয়ে বিপুল উৎসাহ থাকে বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের মধ্যে৷

এই জিলিপির কথা এখ৷ প্রতিটি জেলায় ও রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷

প্রথা অনুযায়ী প্রতি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন ভাদু জাগরণ ও বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে চলে দোকানে দোকানে জিলিপি তৈরির প্রতিযোগিতা। কোন দোকানে কত বড়ো সাইজের ও কত বেশি ওজনের জিলিপি তৈরি হবে তা নিয়েই চলে এই প্রতিযোগিতা। এক একটি জিলিপির ওজন ৩ থেকে ১০-১২ কেজি পর্যন্ত হয়৷

এই কেঞ্জাকুড়ার এক অভিজাত মিষ্টির দোকানি মুক্তা দত্ত জানান, এই বিশালাকৃতি জিলিপি বেয়াই বাড়িতে পাঠিয়ে অনেক মান অর্জন করে মেয়ের বাড়ির লোকেরা। তাই কাঁসা, পিতল শিল্পের মতো এই মেগা জিলিপি বংশ পরম্পরায় ঐতিহ্য বহন করছে৷
কথিত আছে ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশার বনেদি বাঙালিরা এই ভাদু পুজার আগের দিন গাড়িতে করে এসে এই জিলিপি নিয়ে যেতেন। এখনও পুরুলিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর জেলা থেকে অর্ডার আসে।

আরো পড়ুন

রাশি অনুযায়ী আরাধনা করুন সিদ্ধিদাতা গণেশের

তবে বর্তমানে কোভিডের দাপটে গতবছর থেকে শুরু করে এবছরেও এই শিল্প মন্দার মুখে৷
মানুষের আর্থিক অবস্থা ভালো না, রুজি রোজগার অনেকের বন্ধ তাই এ বছর মেগা জিলিপির ওজন ও সাইজ কমানো হয়েছে। পাঁচ কেজি ওজনের জিলিপির সাইজ এখন দেড় কেজিতে এসে ঠেকেছে। অর্ডারও আসেছে শুধু মাত্র নিয়ম রক্ষার জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে।

ক্রেতাদের মধ্যেও শোনা গেছে মিষ্টির ঐতিহ্যের কথা৷ তাই এই ভাদু উৎসবে আজও এই মিষ্টি কেঞ্জাকুড়ার প্রতিটি ঘরে ঘরে পাওয়া যায়৷