TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

প্রেক্ষাগৃহ “পদ্মশ্রী”র পথচলা আজ বিলুপ্তির পথেঃ-

বর্তমান প্রযুক্তি যেমন গোটা বিশ্বকে আপন ছন্দে বেঁধে নিয়ে সহজ করে দিয়েছে মানুষের পথচলা, তেমনি অনেক প্রযুক্তিই আজ বিপন্নতা শিকার। মাচার অভিনয়, যাত্রাপালা, নাটক, থিয়েটারের হাত ধরে ধরে বাঙালি প্রেক্ষাগৃহের আসনে ভীড় জমাতে শুরু করেন গোটা ঊনিশ শতক জুড়ে, সেই প্রেক্ষাগৃহ গুলির মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হলো পদ্মশ্রী প্রেক্ষাগৃহটি। যা আজ বন্ধ হতে চলেছে, বাঙালির বিনোদন ঐতিহ্যের কফিনে আরো একটা পেরেক সম।
1958 থেকে 1959 সালে প্রযোজক ডিস্ট্রিবিউটর নারায়ণ সাঁধুখার উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়া এলাকায় নির্মিত হয় এই হলটি। নাম রাখা হয় পদ্মশ্রী। 1960 সালে 720 টি আসন নিয়ে উত্তম- সুচিত্রার ‘চাওয়া- পাওয়া’ সিনেমার মাধ্যমে শুরু হয় পদ্মশ্রীর পথচলা। বাঙালি তার প্রিয় জুটিকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন সেদিন। এর পরে ওই এলাকায় চালু হয় বান্টি, মধুবন, মহুয়া, মালঞ্চের মতো আরো অন্যান্য প্রেক্ষাগৃহ।
এই বিলুপ্তির কারণে অনেক মাঝবয়সীর মনেই আজ প্রায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাদের সময়কার প্রিয় বিনোদনের স্থানটি আজ বিপন্নের মুখে। দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন হলে কর্মরত মানুষ গুলিও।
পদ্মশ্রীর এক কর্ণধার শ্যামল দে জানিয়েছেন বর্তমান মাল্টিপ্লেক্সের যুগে সিঙ্গেল স্ক্রিন হলের ডিমান্ড অনেক কমেছে, তার উপরে করোনার অতিমারিতে যেখানে ই- মাধ্যম সকলের বাড়িতে বাড়িতে সেখানে হলে সিনেমা দেখার ইপ্সা আর মানুষের মধ্যে নেই বললেই চলে। তাই তিনি হলটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। প্রেক্ষাগৃহটির ভবিষ্য-পরিনতি কি হবে তা নিয়ে তিনি কোনো মত প্রকাশ করেননি সংবাদ মাধ্যমের কাছে। পদ্মশ্রী ছাড়াও মিত্রা, এটেলি, মালঞ্চ, রক্সির মতো হল গুলিও বন্ধ হয়েছে অনেক আগেই।