TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সরকারি বাংলো ছাড়তে হবে ১ আগস্টের মধ্যে 

কংগ্রেস বনাম বিজেপির রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আরও এক নতুন রূপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। এদিন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া কন্যা তথা কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিজের সরকারি বাংলো ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় মোদী সরকার। এক মাসের সময়সীমা দিয়ে প্রিয়াঙ্কার কাছে এই নির্দেশ আসে। আগে গিয়েছিল এসপিজি নিরাপত্তা। এবার চলে গেল সরকারি বাড়িও। এক মাসের মধ্যেই দিল্লির অভিজাত লোধি এস্টেটের বাংলো খালি করে দিতে বলা হল প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরাকে।
আরও পড়ুন :  রেলে এবার বেসরকারি ট্রেন,উদ্যোগী রেলমন্ত্রক
এসপিজি নিরাপত্তা পান না বলে ওই বাড়িটিতে থাকার অধিকার আর নেই কংগ্রেস নেত্রীর। এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁকে বাড়ি খালি করতে বলেছে আবাসন ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। এর জন্য এক মাস সময় তাঁকে দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এখন যেহেতু প্রিয়াঙ্কা এসপিজি নিরাপত্তা পান না. তাই টাইপ ৬৮-এর বাড়িতে থাকার শর্ত তিনি পূর্ণ করেন না। এই জন্যে বাড়ি ছাড়তে হবে। পয়লা অগস্টের পর থাকলে তাঁকে ফাইন দিতে হবে, এই বিষয়েও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : সরকারি নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যেতে পারে টিকটক
এছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বলা হয়েছে তিনি যেন অদেয় ৩৪৬৬৭৭ টাকা দ্রুত মিটিয়ে দেন। এই সময়ের সমস্ত বাকি টাকা ও ভাড়া মিটিয়ে দিতে চিঠিতে বলা হয়েছে। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী বাংলো রাখার কোনও উপায় নেই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর কাছে, যদি না তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে সুপারিশ জোগাড় করতে পারেন।
এখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সিআরপিএফ নিরাপত্তা দেয়।  Z+  সিকিউরিটি পান তিনি। কিন্তু সেটায় সরকারি বাড়ি মেলেনা যদি না তাঁর বিপদের সম্ভাবনা নিয়ে বিশেষ কোনও সুপারিশ পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
১৯৯৫ সালে ৩৫ লোধি এসটেটের এই বাড়িটি পেয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। দুই দশকে ক্রমশ ফিকে হয়েছে কংগ্রেসের রাজনৈতিক ক্ষমতা। তারই ফলে এবার বাস্তুচ্যূত হতে চলেছেন গান্ধী পরিবারের অন্যতম সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।
আরও পড়ুন :  লাইভ করোনা আপডেট
১৯৯৭ সাল থেকে দিল্লির এই লোধি এস্টেট বাংলোতে প্রিয়াঙ্কা থাকছেন। যে সময় থেকে তিনি সেখানে রয়েছেন, সেই সময় প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে পদার্পণ করেননি। ফলে সেসময় তিনি বিধায়ক, সাংসদ বা দলীয় নেত্রী হিসাবেও কোনও পদে ছিলেন না। তবে সেই সময় প্রিয়াঙ্কার নাম স্পেশ্যাল প্রাইভেট প্রোটেকশন গ্রুপে ছিল। আর সেই সূত্রে বাংলোয় বসবাস করছিলেন তিনি।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সরকারী পদের বাইরে থাকা কেউ কেবলমাত্র স্পেশ্যাল প্রাইভেট প্রোটেকশন গ্রুপে থাকলেই এই বাংলোর অধিকার পেতে পারেন।