TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

করোনা আক্রান্ত নবান্নের  ৪ গাড়িচালক, নবান্নের চোদ্দ তলায় বিশেষ সতর্কতা 

লকডাউন শেষ৷ গতকাল থেকেই খুলে গেছে সমস্ত সরকারি দপ্তর। সপ্তাহে তিনদিন অফিসে আসতেই হবে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু এর মধ্যেই আরও এক উদ্বেগের খবর৷ জানা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন নবান্নের চার আমলা-আধিকারিকের গাড়িচালক। এই চার জনের মধ্যে তিন জনই বসেন নবান্নের চোদ্দ তলায়। এই চোদ্দ তলাতেই বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। এই অবস্থায় আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে চাইছেন প্রশাসন। ইতিমধ্যেই তিন দফায় নবান্ন স্যানিটাইজ় করা হয়েছে।

 

আরো পড়ুন – করোনা মুক্ত প্রাকৃতিক রূপ কথার দেশ – নিউজিল্যাণ্ড

কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক কর্তা এবং এক অফিসারের গাড়িচালকের করোনা ধরা পড়েছিল। এ বার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন সচিবালয়ের এক কর্তার সহকারীর গাড়িচালক। পাশাপাশি, মুখ্যসচিবের দফতরে কর্মরত এক আমলার গাড়িচালকও সংক্রমিত হয়েছেন বলে খবর। ওই আমলাকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের শীর্ষমহল থেকে। তাঁর সহকারীদের নমুনাও নেওয়া হয়েছে করোনা-পরীক্ষার জন্য।

 

আরো পড়ুন – করোনা অ্যান্টিবডি টেস্ট চালু করার তোড়জোড় কেরলে-শুরু গোষ্ঠী সংক্রমণ
আমলা এবং অফিসারদের গাড়িচালকেরা সংক্রমিত হওয়ায় খানিক চিন্তা বেড়েছে রাজ্য প্রশাসনের অন্দরে। সাধারণত, আমলা-অফিসারদের নবান্নে নিয়ে আসার পরে অনেক গাড়িচালক একই জায়গায় বসে গল্প-আড্ডায় মশগুল থাকেন। তা থেকে দূরে থাকার জন্য তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন আমলা-অফিসারেরা। একই সঙ্গে গাড়ির বিভিন্ন অংশ রোজ দু’-তিন বার করে পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

 

আরো পড়ুন –পশ্চিমবঙ্গে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ল লকডাউনের মেয়াদ।

নবান্নের ১৪ তলার একটি ক্যান্টিন থেকে ভিআইপি এবং অতিথিদের জন্য চা-খাবার সরবরাহ করা হয়। সুরক্ষার কারণে আপাতত সেটিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চা-খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মীরা নবান্নের একটি তলা থেকে অন্য তলায় যাবেন না। যে তলায় যে কর্মী কাজ করছেন, সেখানেই তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করবেন।

সুরক্ষাবিধির উপর নজর দিয়েছে প্রশাসনের শীর্ষস্তর। এইজন্য নবান্নের উত্তর গেট এবং তার পাশের গেটে বেসিন বসানো হয়েছে। যাতে সেখানে হাত ধুয়ে কর্মীরা দফতরে প্রবেশ করতে পারেন। অন্য অফিসের মতো নবান্নতেও হাজিরা বেড়েছে। তবে প্রশাসন নানা সুরক্ষা-প্রস্তুতি নিলেও আতঙ্ক সম্পূর্ণ কাটছে না।