সোমবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর জেলায় “এক কাপ চা” নিয়ে তর্ক চলার পরে একটি ৩৫ বছর বয়সী গর্ভবতী মহিলাকে তার ৪০ বছর বয়সী স্বামী হত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূ স্বামীর চা’তে চিনি কম দিয়েছিলেন। সেই চা মুখে দিয়েই বাবলু কুমারের মেজাজ সপ্তমে চড়ে যায়। প্রথমে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের পর তাঁর গলা কেটে দেয় সে।
আরও পড়ুন অনলাইনে কেনাবেচার ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের
মৃতার নাম রেণু দেবী। রেণু ও তার স্বামী বাবলু কুমার এই দম্পতি পাসগাওয়া থানার লখিমপুর জেলার নাপিত এলাকায় থাকতেন। ছুরি দিয়ে মহিলার গলা কেটে খুন করার পর আসামি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তাদের বাচ্চারা, যারা তখন ঘুমিয়ে ছিল, বাবার চিৎকারে ততক্ষণে তিন সন্তানের ঘুম ভেঙেছে। সবাই রান্নাঘরে পৌঁছে দেখতে পায় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছটফট করছেন তাদের মা। ১২ বছর আগে বাবলু কুমার ও রেণুর বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন বিমান চলাচলে ভারতের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
ঘটনার পরেই মৃতা গৃহবধূর বাবা বদ্রী প্রসাদের অভিযোগের ভিত্তিতে বাবলু কুমারের বিরুদ্ধে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করেছে। স্থানীয় থানার তরফে পুলিশকর্তা রাকেশ কুমার জানিয়েছেন, চায়ে চিনি কম থাকায় ওই দম্পতির মধ্যে বচসা শুরু হয়। বাবলু কুমার স্ত্রী রেণুদেবীকে মারধরের পর ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয়। স্ত্রীকে খুনের পর থেকেই সে ফেরার। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত ছুরিও উদ্ধার হয়েছে। মাকে খুন করেছে বাবা, তা ছেলেমেয়েরাই দেখেছে। তাই তাদের বয়ান রেকর্ড করা হবে।