TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

অস্তিত্ব সংকটে পুরুলিয়ার প্রাচীন ঐতিহ্য দেউলঘাটা

পুরুলিয়া মানে শুধুমাত্র অরণ্য, সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মোড়া দেশ নয়। এই জেলার বুক চিরে চলে গিয়েছে কংসাবতী নদী, যা অনেক ইতিহাস, ঐতিহাসিক ঘটনা ও স্থাপত্যর সাক্ষী ।এই জেলাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ঐতিহাসিক স্থান ও পর্যটন কেন্দ্র । যার অন্যতম দেউলঘাটা । পুরুলিয়া জেলার জয়পুর ব্লকে ।  দেউলঘাটা, যা বৌদ্ধযুগের অন্যতম নিদর্শন । যার বয়স দুহাজার বছরের বেশি। এই ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যমণ্ডিত নিদর্শন এখন সংরক্ষণের অভাবে ধ্বংসের মুখে । অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে প্রাচীন এই ঐতিহ্য ।
স্থানীয় ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করা সুভাষ রায় ও অধ্যাপক অরবিন্দ চট্টোপাধ্যায়ের মতে, এই এলাকায় যে জৈন ধর্মের মতোই বৌদ্ধ ধর্মের বিকাশ ঘটেছিল তার অন্যতম নিদর্শন এই দেউলঘাটা । দেউলঘাটার অর্থ ‘ মন্দিরের সমাবেশ ‘। কারো কারো মতে এগুলি জৈন ধর্মের । কিন্তু এই মন্দিরের স্থাপত্য যা তা বৌদ্ধ যুগের । এখানে তিনটি মন্দির ছিল । এগুলো দুই হাজার বছরের পুরনো । কিন্তু সংস্কার ও সংরক্ষণের অভাবে একটি ইতিমধ্যেই কংসাবতী নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে । যে দুটি এখনও টিকে আছে তাও আজ অবহেলায় জীর্ণপ্রায় । এই নিয়ে ক্ষোভ আছে পুরুলিয়া জেলার ঐতিহ্যপ্রেমীদের ।

 

এই মন্দিরগুলির বৈশিষ্ট্য হল, দেওয়ালের উচ্চতা 70 থেকে 80 ফুট, প্রধান প্রবেশদ্বার ত্রিভুজাকৃতি । যা জানান দেয় এই নিদর্শনগুলি বৌদ্ধ যুগের । গবেষক ও স্থানীয়দের অভিযোগ, অথচ, প্রাচীন সভ্যতার এহেন নিদর্শন ও স্থাপত্য যে অবস্থায় পড়ে আছে তার প্রতি নজর নেই কারোর । পুরুলিয়া জেলার অযোধ্যা পাহাড় সহ বিভিন্ন জায়গা পরিকল্পনা করে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে অথচ ব্রাত্য থেকে গিয়েছে এই দেউলঘাটা ।

 

১ জানুয়ারি থেকে আসছে সরল জীবন বিমা, পাবেন একাধিক সুবিধা

চারদিকে ঝোপঝাড় প্রায় ঢেকে ফেলেছে কোনও মতে টিকে থাকা এই মন্দিরদুটিকে । বছরের পর বছর যত্নর অভাবে খসে পড়ছে মন্দিরের দেওয়াল। শরীরে জীর্ণতার ছাপ । মন্দিরের দেওয়ালের মতো ভিতরেও জন্মেছে আগাছা।

এখনও বহু মানুষ আসেন এই স্থাপত্য দেখতে । প্রাচীন এই স্থাপত্য দেখতে এসে নিরাশ হয়ে ফেরেন তারা। তারা চান প্রাচীন ঐতিহ্য ও স্থাপত্য টিকিয়ে রাখতে নজর দিক প্রশাসন।।

অবহেলা অযত্নে পড়ে থেকে এখন কালের গ্রাসে লীন হয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে প্রাচীন এই স্থাপত্য ।
কিন্তু এলাকার লোকজন বলছেন যে একটু নজর দিলেই আরও অনেক দিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব এই দেউলঘাটার ঐতিহ্য ও স্থাপত্য ।