TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

বিহার:আসনের কাছে গেরুয়া, তবে অবাক করছে তেজস্বী-ট্রেন্ড

বিহার, ১০ নভেম্বর, ২০২০ঃ এবারও কি বদলে যাবে একজিট পোলের হিসেব? ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে একজিট পোল যা দেখিয়েছিল, ফল হয়েছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সেবার দেখানো হয়েছিল, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে এনডিএ, তথা বিজেপি। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেরার স্থান দখল করে নেয় নীতিশ কুমার আর কংগ্রেসি জোট। জোটসঙ্গীকে ছেড়ে পরবর্তীকালে নীতিশ প্রশাসন বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলায়, সে অবশ্য পরের কথা।

আরও পড়ুন বিহারে এবারের ভোটগণনায় ধরা পড়ল দুই ব্যতিক্রমী ট্রেন্ড, জেনে নিন

তবে এবারের নির্বাচনে এখনও অবধি একজিট পোলের হাওয়া পাল্টে বিহারের একক বৃহত্তম দল হয়ে একলা উঠে এসেছে বিজেপি। আর জোটসঙ্গী নীতিশের জেডিইউ-কে ধরলে সরকার গড়ার ম্যাজিক ফিগারও পেরিয়ে গেছে কখন! তবে সমস্যা কিন্তু নীতিশ কুমারের। একক বৃহত্তম বিজেপি-র পাশে এখনও অবধি শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে তিনি তৃতীয়স্থানে। তাই এনডিএ জিতলেও তাঁর দলের কৌলীন্যের আশা তেমন কিছু নেই। তাহলেও কি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রিত্বে রাখবে গেরুয়াশিবির? প্রশ্নটা এ মুহূর্তে লাখ টাকার।
আরও বড় কথা হল, দল হিসেবে বিহার বিজেপি-র একেবারে কানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে আরজেডি। মহাগঠবন্ধনের নেতা লালু-পুত্র তেজস্বী যাদবের কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রিত্বের কুর্শিও খুব একটা দূরে নেই কিন্তু। জোট হিসেবে এনডিএ আর এমজেবি টক্করে নেমেছে শুরু থেকেই। ট্রেন্ড বিজেপি থাকলেও, লালুর পরিবারও ছেড়ে কথা বলছে না। ছেলের জন্য কুর্শির মরিয়া লড়াইটা লালুও লড়বেন তো! শেষমুহূর্তের নির্ণায়ক ফ্যাক্টর খুঁজতে শুরু করেছেন এখন থেকেই।
তবে এমজেবি বা মহাগঠবন্ধন-এর পক্ষে আরও এক আশার কথা রয়েছে। পূর্ববর্তী বিধানসভায় তাদের একশো আসনের সংখ্যাটা পেরিয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। এখন শুধু বাড়তির দিকে।

আরও পড়ুন ১২৭ এনডিএ ১০৫ মহাজোট

তেজস্বীর জোটসঙ্গী হিসেবে কৃতিত্ব তো ভাগ হবেই। কিন্তু ব্যক্তি ক্যারিশ্মার দিক থেকে তেজস্বীর তেজের কাছে খুব একটা কল্কে পেলেন না রাহুল গান্ধি। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের আসনসংখ্যা গতবারের তুলনায় সেই একই নিক্তিতে আটকে গেছে যেন। রাহুল ট্রেন্ড তৈরিই হতে পারল না।
তুলনায় অপ্রত্যাশিতভাবে বিহার নির্বাচনে বাম দলগুলি বেশ ভালো ফল করে ফেলছে। মাত্র কুড়িটির বেশি আসনে যারা প্রার্থীই দিতে পারেনি, বিহার ফলাফলে বরং তারা লাল ট্রেন্ডের মুখ খুলে ফেলেছে এর মধ্যেই।
অবশ্য গণনাকাজ এগিয়েছে মাত্র পঞ্চাশ শতাংশ। একশো শতাংশ সম্পূর্ণ হতে মাঝরাত পেরিয়ে যাবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।