করোনা ভাত কেড়েছে আর আমফান ঘর কেড়েছে। এক অদ্ভুত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে দিন কাটছে রাজ্যের। দিনে দিনে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার প্রকোপে স্তব্ধ হয়ে গেছে গোটা দেশ। লকডাউন জারি রয়েছে সারা দেশ জুড়ে। হাতে কাজ নেই এই লকডাউনে, আয়ের রাস্তাও বন্ধ। এই পরিস্থিতিতে দুবেলা দুমুঠো ভাত জোগাড় করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার উপর ৪ দিন আগে এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফান তছনছ করে দিয়ে গেছে গোটা রাজ্যকে। আমফানের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সারা রাজ্যে। কত যে গাছ পড়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই। কত বট অশ্বত্থ উপরে গেছে ঝড়ের দাপটে। ক্ষেতের পর ক্ষেত ধ্বংস হয়ে গেছে এই ঝড়ের দাপটে। মাইলের পর মাইল এলাকা জলে ডুবে গেছে। ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা এখনো নেই। জল নেই, মোবাইল পরিষেবা বন্ধ। এখনও শহরের অনেক এলাকায় গাছ পড়ে আছে। একেই করোনা নিয়ে মানুষ ভয়ে দিন কাটাচ্ছে, ঠিক মত খেতে পাচ্ছে না নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষগুলো তার উপর আমফানের প্রভাবে সবজির দাম অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রত্যেক সবজির ২০ টাকা করে দাম বেড়েছে। আমফানের প্রভাবে এইভাবে মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়বে তা কেউই ভাবতে পারেনি। আমফানের জেরে কলকাতা থেকে হাওড়া সব জায়গায় গাছ পড়ে আছে ফলে রাস্তায় ট্রলি করে যারা আসত তারা আসতে পারছেন না। লাভ তোলার জেরে সমস্যায় পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেট। এই গরমেও পটল ৬০ টাকা কিলো। ঢেঁরশ ৫০ টাকা কিলো। বাটা মাছ ৩০০ টাকা কিলো। কেন এই পরিস্থিতি? এর উত্তরে রাজ্য বাজার টাক্স ফোর্সের এক অধিকারিক জানিয়েছেন সবজির জমিতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। এখনও জল নামেনি। তাই পচন ধরেছে। সেই কারণে দাম বেড়েছে তবে নজর রাখা হচ্ছে যে সঠিক দামের ব্যাপারে। মাত্রারিতিক্ত দাম হলে ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের সরাসরি বিক্রির স্থানে সবজি বিক্রির কথা বলা হয়েছে। এই সময় যাতে ফরেদের দৌরাত্ম্য বাড়তে না পারে সেইদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সবজির দাম বৃদ্ধি সাধারণ মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।