TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

সংক্রমণ রুখতে কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত, নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন

করোনা সংক্রমণ এবং মৃত্যু ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আনলক-1 এর শুরু থেকেই বাড়ছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আনলক-2 তে নতুন করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়েছে হু হু করে। সেই কারণেই রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় আবার কড়া লকডাউন জারির ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল প্রশাসন।
আজ সেই সিদ্ধান্তেই শিলমোহর পড়ল। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে যে উত্তর 24 পরগনায় ফের জারি হচ্ছে কড়া লকডাউন। এখন বৈঠক চলছে কলকাতা-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলা নিয়ে। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নবান্নের তরফে লকডাউন সম্পর্কিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে জেলাশাসকের দপ্তরে। সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেমন মুদি, সবজি, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফল, ওষুধের এসব ক্ষেত্রে মিলবে ছাড়। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হলেও ফের বেঁধে দেওয়া হয়েছে দোকান খোলার সময়। চায়ের দোকান সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন লকডাউনে বেড়ে চলেছে গার্হ্যস্থ হিংসা, কী বলছে নারী অধিকার আইন

আনলক-2 তে আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল জনজীবন। রাস্তায় নেমেছিল যানবাহন। পুনরায় লকডাউনে উত্তর 24 পরগনাতে ফের বন্ধ করে দেওয়া হল গণপরিবহণ। অফিস চালু রাখার ক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২০ শতাংশ। ছাড়ের আওতায় ব্যাংক, এটিএম, পোস্টাল, ফায়ার ও সিভিল সার্ভিস। দমদম বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচলে ক্ষেত্রেও ফের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পাশাপাশি, ফের ধর্মস্থান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, নির্মাণকাজ চলতে পারে, তবে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে। সেইসঙ্গে মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব পালন আবশ্যিক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে বাড়বে কিনা লকডাউন সে নিয়ে আজ বৈঠক নবান্নে

সূত্র থেকে জানা গেছে যে, হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা করা হবে না। দুদিন ধরে প্রচার করে সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। 14 দিনের লকডাউনের প্রস্তাব থাকলেও 10 দিন পর একটা রিভিউ করা হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উত্তর চব্বিশ পরগনার মত এই পরিস্থিতি হতে পারে কলকাতাতেও। উল্লেখ্য, সোমবার পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন 22,987 জন। গত একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন 861 জন এবং মৃত্যু হয়েছে 22 জনের।