TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

মন্দির নির্মাণের শুভেচ্ছা বার্তা ঘিরে বামেদের সমালোচনার মুখে কংগ্রেস ; জবাব শশী থারুরের

নয়াদিল্লি, ৬ ই অগাস্ট, ২০২০ : দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ১৯ লক্ষ পেরিয়েছে,পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বহু মানুষ রুজিহীন। এই আবহে বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর পর কংগ্রেসের শুভেচ্ছা বার্তাকে কটাক্ষ করেন বামশাসিত কেরলের মুখ্যমন্ত্রী।

পিনারাই বিজয়ন বলেন, তাঁদের দল এবিষয়ে আগে থেকেই নিজেদের স্পষ্ট অবস্থান রেখেছে। গোটা দেশ এক মহামারী পরিস্থিতির সম্মুখীন। তাই সেই সংকট থেকে বের হওয়ার উপায় ভাবা উচিত। এমন অবস্থায় প্রাসঙ্গিক বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
বুধবার রাম মন্দিরের ভূমিপুজোয় উপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের বিশিষ্টরা। মন্দির নির্মাণের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, রাহুল গান্ধীসহ কংগ্রেসের প্রথম সারির নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন :  ছেলেকে বাঁচাতে ৩৫ ফিট লম্বা সুড়ঙ্গ খুঁড়ে দিলেন মা

কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য কংগ্রেসের নমনীয় অবস্থানে তিনি একটুও হতবাক নন, বরং এই ঋজুতার অভাবই তাদের থেকে প্রত্যাশিত। কংগ্রেসের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে ত্রুটিপূর্ণ বলে সমালোচনা করার পাশাপাশি পিনারাই বিজয়নের মন্তব্যে উঠে আসে রাজীব গান্ধী বা নরসিমা রাওয়ের সরকারের সময়কার দৃষ্টিভঙ্গির কথা, যা কংগ্রেসের ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। তিনি অভিযোগের তীব্রতা আরও এক ধাপ চড়িয়ে বলেন –
“ধর্মনিরপেক্ষতা কী, তা যদি কংগ্রেস জানত, তবে আজ দেশকে এমন দিন দেখতে হত না।”
তাঁর মতে ভোটের স্বার্থে কংগ্রেস ক্রমশই মৃদু হিন্দুত্ববাদী দল হয়ে উঠছে। ইতিহাসের পর্যালোচনা করে বলেন হিন্দু সংগঠন ও সংঘ যখন বাবরি মসজিদ ভেঙেছিল, কংগ্রেস না দেখার ভান করেছিল মাত্র।

আরও পড়ুন :  নিউইয়র্কে ডিজিটাল বিলবোর্ডে দেখানো হলো ভগবান রাম ও রাম মন্দিরের ছবি

রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের শুভেচ্ছা জানানোয় কংগ্রেসকে নিয়ে বামেদের এহেন সমালোচনার প্রত্যুত্তরে কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ট্যুইট করেন। বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া দরকার। কংগ্রেস কখনওই অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির বিরোধিতা করেনি, শুধু বেআইনিভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙার বিরোধিতা করেছে। তিনি দলের কার্যকলাপের কৈফিয়ত দিয়ে বলেন ১৯৮৯ সালে মন্দির তৈরির বিকল্প স্থান হিসাবে রাজীব গান্ধী জাতীয় হিন্দু পরিষদকে জমি পর্যন্ত দিতে চেয়েছিলেন।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনার প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা অনর্থক কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছেন।