ব্রাসেলস, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০: যে পুরস্কারে তিনি নিজে ভূষিত হয়েছিলেন, সেই পুরস্কারের মঞ্চই আর তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে চায় না। মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি-কে ব্রাত্য করে রাখল ইওরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার পুরস্কারের মঞ্চ। অথচ গৃহবন্দি অবস্থায় ১৯৯০ সালে এই পুরস্কারটি সু কি নিজেই পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস: আত্মঘাতী আচরণ ও প্রতিরোধের উপায়
ইওরোপিয়ান পার্লামেন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মায়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের সুরক্ষা প্রদানে ব্যর্থ হওয়া নেত্রীকে ব্রাত্য করল তারা।
১৯৯০ সালে ইওরোপিয়ান পার্লামেন্টের মানবাধিকার পুরস্কার, তথা সাখারোভ পুরস্কার পান আউন সান সু কি। অন্যান্য পুরস্কারজয়ী, ইওরোপিয়ান পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতা এবং মানবাধিকার কর্মীদের সম্মেলনেও আমন্ত্রণ জানানো হয় সু কি-কে। বিশ্বজোড়া মানবাধিকার প্রচারকাজেরও অংশ করা হয় সাখারোভ পুরস্কারজয়ী নেত্রীকে।
তবে বর্তমানে ইওরোপীয় পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তাঁকে এই পুরস্কার মঞ্চ থেকে বাদ দেওয়ার কারণ হিসেবে লেখা আছে, “মায়ানমারের রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঘটে চলা অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যর্থ। নিশ্চুপ।”
আরও পড়ুন আজ রাত পোহালেই দুর্গাপুজোর শুরু
তবে শুধু সাখারোভ নয়, বিশ্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কার কমিটিও আং সান সু কি-কে ব্রাত্য ঘোষণা করেছে। নিমন্ত্রণ পাঠানো হয় না তাঁর কাছে। এমনকী এই নীতি নিয়েছে নোবেল কমিটিও। এমনকী ১৯৯১ সালে শান্তির জন্য দেওয়া নোবেল পুরস্কারটিও সু কি-র থেকে প্রত্যাহার করতে চায় নোবেল কমিটি।