জাদুঘর বললেই আমরা ফিরে যাই ছোটবেলায়৷ বাবা মা’র হাত ধরে যাওয়া, সে এক অজানা জগত। চারপাশে অবাক বিস্ময়, ইতিহাস কত অজানাকে দেখা৷ কিন্তু এমন অজানার সন্ধান যদি থাকে জলের নিচে! হ্যাঁ জলের নিচে আছে আস্ত এক জাদুঘর। কোনও কৃত্রিমভাবে অ্যাকোরিয়াম বা জলাশয় নয়, ইজিয়ান সাগরের তলদেশে প্রথম এক মিউজিয়াম বা জাদুঘর তৈরি করল গ্রিস। ২০২০ সালেই এই জাদুঘর প্রস্তুত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু করোনার মহামারীর কারণে সেই সময় সাধারণ পর্যটকদের জন্য জাদুঘর খুলে রাখা সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি সাধারণের জন্য এই জাদুঘর খুলে দেওয়া হয়েছে৷
ইজিয়ান সাগরের জল স্ফটিকের মত স্বচ্ছ। উপর থেকে পরিষ্কার দেখা যায় এর তলদেশে। যদিও সাগরের গভীরতা অনেকটাই কম। স্বচ্ছ জল এবং গভীরতা কম হওয়ার কারণে গ্রিস সরকার অ্যালোসিনোস দ্বীপের নিকটবর্তী ইজিয়ান সাগরের তলদেশে জাদুঘর তৈরি করেছেন৷
এই জাদুঘরে রয়েছে নানারকম দেখার মত জিনিস৷ ধ্বংসপ্রাপ্ত প্রাচীন জাহাজের অবশিষ্ঠাংশ রয়েছে, ২,৫০০ বছরের পুরানো মদের পিপে রয়েছে, এছাড়া গ্রিসের বিভিন্ন জায়গার প্রাচীন প্রত্নসামগ্রীর নিদর্শন রয়েছে রাখা এই জাদুঘরে৷
সমুদ্রের তলদেশে এই জাদুঘর অবস্থিত হওয়ায় এখানে যাওয়ার জন্য ডুবুরীর পোশাক পরতে হয়৷ সাঁতার কেটে এই জাদুঘরে পৌঁছাতে হবে। সঙ্গে একজন গাইড এবং প্রত্নতত্ত্ববিদ থাকবেন। স্কুবা ডাইভিং এর মজার পাশাপাশি জাদুঘর ঘুরে দেখার সুযোগ পাবেন৷
আরো পড়ুন
দেশে বিদেশে পুতুলনাচ দেখাচ্ছেন বাংলার দুই মেয়ে
ইতিমধ্যেই পর্যটকরা ভিড় জমাচ্ছেন৷ এই জাদুঘরে যাওয়ার জন্য একজন পর্যটক এর খরচ হবে ৯৫ ইউরো৷