TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

যত আসন ততজন যাত্রী, এই শর্তে মেট্রো চালু হবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী 

লকডাউন চলবে ৩১ জুলাই অবধি। বুধবার সর্বদল বৈঠকের পর এমনটাই জানান খোদ মুখ্যমন্ত্রী। এই পর্বে লকডাউনে আরও কিছু বিধি শিথিল করতে উদ্যোগ নিল নবান্ন। শুক্রবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সোশাল দূরত্ব মানলে পয়লা জুলাই থেকে চলতে পারে মেট্রো৷ মেট্রোয় যতগুলো আসন, ততজন যাত্রী এই শর্তে মেট্রো চললে আমার কোনও অসুবিধা নেই। কীভাবে সেটা সম্ভব আমাদের মুখ্যসচিব আর মেট্রো রেলকর্তারা আলোচনা করেছেন।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “পথে প্রায় আড়াই হাজার বাস-মিনিবাস আছে। আমরা বাস সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের বলেছি পয়লা জুলাই থেকে আরও পাঁচ-ছ’হাজার বাস পথে নামাতে। বাস আর মেট্রো চালু হলে মানুষের হয়রানি কিছুটা কমবে।” তবে এখনই বাসভাড়া বাড়ানো হবে না। এমনটাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আশ্বাস, “আগামি তিন মাস বাস ও মিনিবাসপিছু ১৫ হাজার টাকার বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দেবে পরিবহণ দফতর।”
আরও পড়ুন : আজ শনিবার, কেমন যাবে আজকের দিন! জেনে নিন আজকের রাশিফল
এদিন লকডাউন বিধি শিথিল প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “রাত দশটা থেকে ভোর পাঁচটা অবধি চলবে লকডাউন। আগে রেস্তোরাঁ রাত ন’টার মধ্যে বন্ধ করতে হতো। সেটা এখন থেকে দশটায় বন্ধ করা যাবে।” তাঁর মতে, “দেশে সবকিছু চালু হয়েছে। বিমান, ট্রেন, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। এভাবে কীভাবে লকডাউন চলছে। তাহলে যাঁদের অর্থের দরকার, তাঁরা কেন বাড়িতে বসবে।” পাশাপাশি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, “আপনারা এবার থেকে শুধু অ্যাক্টিভ বা সক্রিয় সংক্রমণে জোর দিন। যাঁরা সংক্রমিত হয়ে আসছে, আবার বাড়ি ফিরে যাচ্ছে তাঁদের খবর করে কী হবে! আমাদের রাজ্যে সুস্থতার হার বেড়েছে। আমি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অনুরোধ করেছি সবাইকে সুস্থ করে বাড়ি ফিরিয়ে দিতে।”
আরও পড়ুন : ‘মনের কলম’ জুড়ে বৃষ্টির অনুভূতি
জানা গিয়েছে, রাজ্যে মোট সক্রিয় সংক্রমণ পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হওয়ার হার ৬০%-এর বেশি। সেখানে দেশে এই হার ৫৮%। আর্থিক অনুদান ও ট্রেন-বিমান পরিষেবা প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন “কেন্দ্র থেকে একটাকাও পায়নি। ৫৩ হাজার কোটি টাকা বকেয়া পড়ে। সব নিজেদের করতে হচ্ছে। তার মধ্যেই আমরা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনছি। আর ওরা ট্রেন-প্লেন ঢুকিয়ে সংক্রমণ বাড়িয়ে দিচ্ছে। অবিলম্বে দেশের হটস্পট এলাকাগুলো থেকে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ করুক কেন্দ্র। আমার রাজ্যে মাসে একটা আন্তর্জাতিক বিমান ওঠানামা করলে অসুবিধা নেই। কিন্তু ঘরোয়া বিমানে যাঁরা নামছেন, তাঁদের সঠিক পরীক্ষা হচ্ছে না।ওরা মুখে বলছে টেস্টিং, ট্র্যাকিং অ্যান্ড মনিটরিং। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে কিছুই হচ্ছে না। ” পাশাপাশি জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।