TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

আজও চলছে কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের বাড়ির প্রাচীন পুজো

দেশ ভাগের আগে থেকেই জাঁকিয়ে দুর্গাপুজো হত সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের শ্বশুরবাড়িতে। কিন্তু দেশভাগের পর সকলেই এখন এপার বাংলায়। কিন্তু কোনওমতেই পুজোয় ব্যাঘাত হয়নি সাংসদের শ্বশুড়বাড়িতে। এখনও আগের মতই পুজো হচ্ছে।

কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের বাড়ির পুজো অনেকটাই প্রাচীন। দেখতে দেখতে এই দুর্গাপুজোর বয়স হয়েছে ৩১৯ বছর। হাজার ব্যস্ততা রয়েছে কিন্তু পূর্বপুরুষের রীতি ও নিয়ম মেনে আজও একইভাবে পালন করে চলেছেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও তাঁর চিকিৎসক স্বামী তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার।

বাংলাদেশের বরিশালের গাভা গ্রামে আদিবাড়ি ডাঃ সুদর্শন ঘোষ দস্তিদারদের। তাঁর পূর্বপুরুষ ৩১৯ বছর আগে দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পান ও তখন থেকেই দুর্গাপুজোর শুরু। জানা যায়, কালীপ্রসন্ন ঘোষ দস্তিদারকে এক রাতে আচমকাই মা দুর্গা স্বপ্ন দেখিয়ে পরমান্ন রান্না করে দিতে আদেশ দেন। কিন্তু কালীপ্রসন্ন বাবু জাতে কায়স্থ তাই ইতস্তত বোধ করেন। তখন দেবী নির্দেশ দেন তাঁর খিদে পেয়েছে তাই পরমান্ন রান্না করে দিতে হবে। তখনও নিজের হাতে রাতে স্নান সেরে দেবীকে পরমান্ন উৎসর্গ করে তখন থেকেই শুরু দুর্গাপুজো।

আরো পড়ুন

আড়ম্বরহীন কুমারী পুজো বেলুড় মঠে

এপার বাংলায় এসে প্রথমে হাওড়ার বাউরিয়াতে থাকতেন সুদর্শন বাবুরা। তারপরে চিকিৎসক হয়ে মধ্যমগ্রামে দিগবেড়িয়াতে বাড়ি করে স্থানান্তরিত হন এবং আলাদা করে এই পুজোটি শুরু করেন। প্রায় ২০ বছর ধরে এই বাড়িতে পুজো চলছে আগের রীতি মেনেই। মাকে দেওয়া হয় পরমান্ন অর্থাৎ যার নাম চরু।

তবে করোনার জন্য এখন দু’বছর বাড়িতে লোকজনের আনাগোনা কম। অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই সাংসদ কাকলি ঘোষ দোস্তিদার আক্ষেপ নিয়ে থাকেন। তবে কিছুদিনের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে এটাই মনে করেন তিনি।