জলখাবার হোক বা সান্ধ্যকালীন খাবার, চপ পেলে আর কিছুই লাগে না বাঙালির। তাই খাবারের এই রসায়নকেই কাজে লাগিয়েছেন কার্তিক চুনারী। তাঁর দোকানের নাম মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাংলার ১নম্বর চপশ্রী। প্রায় ৫০ রকমের চপ পাওয়া যায় এই দোকানে। কান্দি তিন সাঁকো মোড়ের ওপর এই দোকানটিতে দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে চপ বিক্রি করছেন কার্তিক বাবু। শুধু আলুর বা মোচার চপ না, মাংসের একাধিক রকমের চপ থেকে পনিরের চপ, নিরামিষ চপ, বিভিন্ন রকমের চপ বিক্রি করে থাকেন কার্তিক বাবু ও তার স্ত্রী। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে চপের ব্যাবসা মন্দা হলেও ধীরে ধীরে আবার বিক্রি বেড়েছে। শুধু কান্দি শহর নয়, মুর্শিদাবাদ জেলারও বিভিন্ন জায়গা থেকেই মানুষজন আসেন এই এবং চপ খেতে।
চপ বিক্রেতা কার্তিক চুনারী জানান, “আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে এই ব্যবসা শুরু করি। পরিবারকে আর্থিক ভাবে সচ্ছ্বল করতেই এই দোকান শুরু করেছি। আমার স্ত্রী সাহায্য করেন। সকাল থেকে উঠে বিকাল পর্যন্ত সমস্ত রকম কাঁচামাল তৈরি করি, সন্ধ্যার পর গরম তেলে ভেজে ক্রেতাদের মনের মতো জিনিস বিক্রি করি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেনায় অনুপ্রাণিত হয়েই আমি এই চপ শিল্প করেছি।”
রাজ্য বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
ক্রেতা অসিতেন্দু ঘোষ জানিয়েছেন, ‘‘আমরা এই এলাকা দিয়ে গেলেই কার্তিকদার কাছ থেকে দাঁড়িয়ে থেকে চপ কিনি। চপ স্বাদে ভালো মুখরোচক খেতে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বাংলার ১নম্বর চপশ্রী ধীরে ধীরে কান্দি শহরের সুনাম অর্জন করে চলেছে।