TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

মমতা স্তুতিতে কলম ধরলেন সাহিত্যিক জয় গোস্বামী

আসন্ন কলকাতা পুরভোট। আর এই ভোটের আবহে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করে কলম ধরলেন বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যকার জয় গোস্বামী। ঘাসফুলের মুখপত্র জাগোবাংলায় প্রকাশিত হয়েছে তাঁর লেখা। এই লেখায় গত ১০ বছরে কলকাতাকে কীভাবে সাজিয়ে তুলেছে তৃণমূল সরকার তা তুলে ধরেছেন জয় গোস্বামী ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘শেষ দশ বছরে এই রোগক্লিষ্ট শহরটার সেবা শুশ্ৰূষা অনেকটা হয়েছে বলেই এখন শহরটাকে সুন্দর লাগে ৷ দক্ষ চিকিৎসকের মতো এই শহরের রোগ নির্ণয় করে তার আরোগ্যের আয়োজন করেছে পুর প্রশাসন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই কাজ হয়েছে , হচ্ছে ৷ এই শহরে এখন গগনচুম্বী ইমারতের সঙ্গে নানা জায়গায় সবুজের সমাহার। শুধু চোখের আরাম, শহরের সৌন্দর্যায়নেই সীমায়িত নয় এই কর্মধারা ৷ রাস্তাঘাটে চলাচলও অনেক সহজ হয়েছে, গতিময়তার সঙ্গে স্বাচ্ছন্দ্য এসেছে ৷ এটাও কিন্তু এই পুর প্রশাসনের কৃতিত্ব ৷’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘তবে হ্যাঁ ৷ একটা ব্যাধির এখনও নিরাময় হয়নি৷ এখনও বর্ষায় জল জমে কলকাতার রাস্তায়৷ সর্বত্র নয়। কোনও কোনও জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ফিরহাদ হাকিমের মহানাগরিকত্বে এই অসুখেরও শুশ্রুষা চলেছে এবং আমি নিশ্চিত তা সেরেও যাবে। কলকাতা অচিরেই ব্যাধিমুক্ত হবে ৷’’

প্রাক্তন মেয়র প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘‘কলকাতার মহানাগরিক তখন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। রবীন্দ্রসদনে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় সুব্রতবাবুকে দেখেছিলাম৷ বিভিন্ন কড়া কড়া প্রশ্নের মুখোমুখি মহানাগরিক। কিন্তু উপস্থিত দর্শকবৃন্দকে উত্তর দিয়েছিলেন নরম গলায়৷ অবাক হয়েছিলাম তাঁর তথ্যনির্ভর বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গির প্রেক্ষিতে সুন্দরভাবে বিচার বিশ্লেষণ দেখে৷ তাতে না ছিল কোনও উন্নাসিকতা, না ছিল কোনও দাম্ভিকতা৷ বিস্মিত হয়েছিলাম এটা দেখে যে সুব্রত মুখোপাধ্যায় এই মহানগরীর ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগের যত খোঁজখবর রাখেন, ভুগর্ভস্থ কলকাতার হালহকিকত সম্পর্কে ততটাই ওয়াকিবহাল৷ কলকাতার উপরিভাগের অর্থাৎ পথঘাট, ট্রামলাইন, উদ্যান, গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা, আবর্জনার স্তূপ, এ সব সম্পর্কে যেমন তিনি সম্যকভাবে অবহিত, তেমনই তিনি খবর রাখেন মাটির নিচে কোথা দিয়ে জলনিকাশি ব্যবস্থা গিয়েছে, কোথায় কীভাবে গিয়েছে বিদ্যুতের তার, বর্জ্যের নিকাশি লাইন কোথা দিয়ে গিয়েছে সেসবও তাঁর নখদর্পণে৷ কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আর মানুষের প্রতি দরদ না থাকলে এভাবে এ সব বিষয়ে জানা যায় না ৷ আসলে সেদিন সুব্রতবাবুর যে দক্ষতা দেখে অবাক হয়েছিলাম সেটা আসলে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজস্ব কর্মপ্রণালীর অংশ৷’’

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন জয় গোস্বামী। তিনি লিখেছেন, ‘‘জননেত্রী এভাবেই সবকিছুর খুঁটিনাটি মনে রাখেন, আর পাখির চোখ করেন মানুষের উন্নয়নকে। রাজ্যে যখন মা-মাটি-মানুষের সরকার এল, আমরা দেখলাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক হাসপাতাল পরিদর্শন শুরু করলেন। খাদ্য দফতরে গিয়ে দেখলেন পাহাড়প্রমাণ ফাইলের স্তূপ৷ সেখানকার সুবিধা-অসুবিধা দেখলেন। কাজ শুরু হল।

ফুটবল খেলার ঝোঁকে শুভশ্রীকে ইন্টারভিউ দিল ইউভান

আর আজ সেই নিরীক্ষণের ফসল হিসেবে আমরা পাচ্ছি দুয়ারে সরকার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রী ইত্যাদি নানা জনকল্যাণকর প্রকল্প৷ আজ তিনি জনমুখী কর্মকাণ্ডের রূপায়ণের বিষয়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। থেমে থাকা তাঁর স্বভাব নয়। সুতরাং, তাঁর দলের পুরপ্রতিনিধি থেকে মহানাগরিক, সবাই এভাবেই শহরের নাগরিকদের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে প্রাণপণ চেষ্টা করবেন, সে কথা বলাই বাহুল্য৷’’