চা পান করতে পছন্দ করেন না এমন বাঙালি বিরল। দিনের শুরুতে চা, বিরক্ত হলে চা, আনন্দ হলে চা। চা ছাড়া দিন চলতেই চায় না। আর শীতে এই গরম পানীয় এর পরিমাণও বেড়ে যায় অনেকটা। কিন্তু এত বেশি চা খাওয়াটা অস্বাস্থ্যকর। অত্যাধিক মাত্রায় চিনি শরীরে যাওয়ার ফলে তৈরি হয় নানা সমস্যা।
এই সমস্যার সমাধান গুড়। চিনির পরিবর্তে চায়ে গুড় ব্যবহার করলে তা স্বাদের সাথে সাথে শারিরীক উপকারও করে। গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং বি, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, সুক্রোজ, গ্লুকোজ, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও মিনারেল পাওয়া যায়। জেনে নিন গুড়ের চা পানের উপকারিতা:
১. পাচন তন্ত্র সুস্থ রাখতে গুড়ের চা এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এতে বুক জ্বালার সমস্যাও কমে। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকায় শীতকালে গুড়ের চা পান করা উপকারী।
২. শীতের সময় গুড়ের চা পান করলে সর্দি ও কফ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। গুড় গরম প্রকৃতির হয়। তাই শীতে গুড়ের চায়ে আদা, গোলমরিচ ও তুলসি পাতা মিশিয়ে পান করলে এটি শরীর যেমন গরম রাখে, তেমনই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।
৩. সহজেই ক্লান্ত হয়ে গেলে ক্লান্তি দূর করতে পান করুন গুড়ের চা। এই চা শরীর ঝরঝরে রাখতে সাহায্য করে।
৪. গুড়ের চা গলা ও ফুসফুসের সংক্রমণ কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখে।
৫. মাইগ্রেন বা মাথা ব্যথার সমস্যা থাকলে গরুর দুধে গুড়ের চা মিশিয়ে পান করলে স্বস্তি মেলে।
৬. গুড়ে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে তাই অ্যানিমিয়া থাকলে গুড়ের চা খুবই কার্যকরী।
৭. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে গুড়ের চা।
৮. পিরিয়ডের সময় ব্যথা কমায় হলে গুড়ের চা।
৯. খাবার হজম করতে এবং পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে গুড়ের চা।
রেগুলার গ্যাসের ওষুধ খাচ্ছেন? হচ্ছে মারাত্মক বিপদ
১০. এমনকি ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও গুড়ের চা গুরুত্বপূর্ণ। চিনির তুলনায় গুড়ে ক্যালোরি কম থাকে, এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১১. গুড়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম ও ফসফরাস থাকে। তাই গুড়ের চা পান করলে হাড় মজবুত হয়।