TheBangaNews.com | Read Latest Bengali News | Bangla News | বাংলা খবর | Breaking News in Bangla from West Bengal

রিয়েলিটি শো নয়, নব রবি কিরণের নিখাদ রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতাকে সাধুবাদ জানালেন দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায়

নব নালন্দা সঙ্গীত শিক্ষায়তন এবং নব রবি কিরণের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সারা বাংলা রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা “গানের ভিতর দিয়ে”৷ নব রবি কিরণেত সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত শিল্পী দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায় জানালেন প্রতিযোগিতা এবং সামগ্রিক সাঙ্গীতিক পরিবেশ নিয়ে কিছু কথা৷

দেবাদৃত চট্টোপাধ্যায় বলেন, সারা বাংলাব্যাপী রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতার আয়োজন অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ৷ এখন সবকিছুই ডিজিটাল। ডিজিটাল মাধ্যমের একটা ব্যবসায়িক দিক রয়েছে৷ যিনি গান গাইছেন সবসময় তার ক্ষেত্রে একা এতটা খরচ করা সম্ভব নাও হতে পারে। এতটা টাকা খরচ করার পর মানুষ তার গান শুনবেন কি না ইত্যাদি নানা রকম সংশয় থাকে৷ সেখানে নব রবি কিরণের মতন একটা নামী প্ল্যাটফর্মে যদি নতুন প্রতিভারা রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়ার সুযোগ পান তাহলে তাদের আগামী দিনে এগিয়ে যেতে অনেক সুবিধা হবে৷ তাছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীত সঠিকভাবে পরিবেশন করাটাও একটা বিষয়৷ অনেক সময় গান সঠিকভাবে গাওয়া হয় না৷ যেহেতু নব রবি কিরণের সঙ্গে বহু নামী শিল্পীরা যুক্ত সেক্ষেত্রে সঠিক ভাবে রবীন্দ্রনাথের গান টা জেনে বুঝে গাওয়ার সুযোগ থাকছে৷ শিল্পী যোগ্য সাম্মানিক পাবেন, গানের চর্চা করতে পারবেন, সঙ্গে একটা প্ল্যাটফর্ম পাচ্ছেন৷ সবদিক থেকেই ভালো হচ্ছে।

দেবাদৃত’র মতে, রবীন্দ্রনাথের গান গাওয়া আসলে একটি সাধনা৷ মন থেকে শ্রদ্ধাসহ গাইতে হয়৷ অনেক সময় গাওয়ার ক্ষেত্রে হয় যে কোন একটা দুটো নোট পরে যখন রেকর্ডে শোনা হয়, তখন মনে হচ্ছে আর একটু ভালো হতে পারত৷  রবীন্দ্রনাথের গানের নোটেশন অত্যন্ত বৈজ্ঞানিক ভাবে সাজানো রয়েছে৷ শুধু মনের ভাব, আবেগ দিয়ে সঠিক ভাবে গাইতে হবে৷ ইচ্ছাকৃতভাবে রবীন্দ্রনাথের গানে পরিবর্তন করা কিছুটা ঔদ্ধত্য বলেই মনে হয় তাঁর৷ তবে গাইতে গিয়ে ভুল অনেকসময় হয়, সেটুকু বাদ দিলে জোর করে পরিবর্তন করার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন না দেবাদৃত৷। পরিচিতি আর শিল্পচর্চা দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।  কেউ একটা গান গাওয়ার পরেই পরিচিতি পান কেউ হয়ত দশটা গান গাওয়ার পরে। দেবাদৃত জানান,” আমরা নব রবি কিরণের পক্ষ থেকে সুযোগটা করে দিতে চাই নতুনদের৷ রবীন্দ্রনাথের গান নিয়ে যারা চর্চা করছেন তারা একসঙ্গে যদি নব রবি কিরণ এর মত একটা প্ল্যাটফর্ম পায়, একসঙ্গে একযোগে চর্চা করেন সেটা সকলের জন্যই ভালো হবে বলে মনে করি৷
নব রবি কিরণের ক্ষেত্রে যেটা উল্লেখযোগ্য তা হল, এমন অনেক অশ্রুত রবীন্দ্রসঙ্গীত আছে যেগুলি মানুষ প্রায় শোনেননি৷  সেই গানগুলোর সাউণ্ডস্কেপ কিছুটা বদলে প্রাসঙ্গিকতা এবং নিজস্বতা বজায় রেখে কীভাবে পরিবেশন করা যেতে পারে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলছে৷

 

সারা বাংলা রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রতিযোগিতা “গানের ভিতর দিয়ে”
সুস্থ সংস্কৃতির অংশ হওয়া একইসঙ্গে নিজেকে গ্রুম করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন৷”

দেবাদৃত জানান, নব রবি কিরণ এর কর্ণধার অরিজিৎ মিত্র এমন একজন মানুষ যিনি সারাক্ষণ ভালো গানের,ভালো শিল্পীর খোঁজে থাকেন৷ নামী বা অনামী নয়, গুণগত মানটাই শেষ কথা৷ তিনি বহু শিল্পীকে উৎসাহ দেন৷ তাই এই প্রতিযোগিতায় যে কেবল বিজয়ী হলেই নব রবি কিরণের প্ল্যাটফর্মে আগামীদিনে কাজ করার সুযোগ পাবেন তা কিন্তু নয়, প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হতে না পারলেও যদি আপনার সঙ্গীতের গুণগত উৎকর্ষতা থাকে তাহলে নব রবি কিরণ সবসময় শিল্পীকে সুযোগ করে দেন৷ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও জানালেন দেবাদৃত৷  একটা সময় যখন অ্যালবাম কেনার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা অনীহা তৈরি হয়েছিল সেইসময়েও অরিজিৎ মিত্র তাঁর মিউজিক অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন, জানালেন দেবাদৃত৷ কারণ এত দায়িত্ব সামলেও শিল্পের প্রতি অরিজিৎ মিত্র’র গভীর অনুরাগ৷ সেই অনুরাগী মন  প্রত্যেক মুহূর্তে ভালো কিছু করতে চায়৷